বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে হবে সবার অংশগ্রহণে। শুক্রবার একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক এ বিষয়ে ইংরেজিতে যে বাক্যটি বলেছেন, তা এরকম ‘দ্য ইনক্লুসিভ ইলেকশন্স বি ইনক্লুসিভ অ্যান্ড পিসফুল’। অর্থাৎ অন্তর্ভূক্তিমূলক নির্বাচন হতে হবে শান্তিপূর্ণ ও সবার অংশগ্রহণে। তার কাছে একজন সাংবাদিক জানতে চান, জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র সহ গণতান্ত্রিক বিশ্ব বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। ৩০শে নভেম্বর নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে প্রায় তিন হাজার বাংলাদেশি আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। আপনারা সব সময় বাংলাদেশে অংশগ্রহণ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে আসছেন। আগামী মাসে ৭ই জানুয়ারি বাংলাদেশে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হতে যাচ্ছে- এটা বলার জন্য কি এই পরিস্থিতি জাতিসংঘের জন্য যথেষ্ট নয়? এ প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, আমি আপনাকে আগে যা বলেছি, তাই বলবো। বাংলাদেশি অন্য কিছু সাংবাদিককে মহাসচিবের পক্ষ থেকে বলেছি- আসন্ন নির্বাচন, যা হতে যাচ্ছে- তাতে যারা অংশগ্রহণ করছেন, এর অংশীদার, জনগণ, বিভিন্ন দল, মিডিয়া সবাইকে শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানকে উৎসাহিত করতে হবে।
এ পর্যায়ে তার কাছে আরেক প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়, নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনে আগ্রহী বাংলাদেশি জনগণ। ক্ষমতাসীন দল অভিযোগ করছে বিএনপিসহ অল্প কয়েকটি দল ২৮শে অক্টোবর থেকে হরতাল, অবরোধের নামে জনজীবনে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে। রাজনীতির নামে এমন বিচ্ছিন্ন ঘটনায় জাতিসংঘের কি কোনো পরামর্শ আছে? এ প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, নির্বাচনে জড়িত সবাই, সরকার, বিরোধী দল, সাংবাদিক, নাগরিক সমাজ সবাইকে একসঙ্গে এটা নিশ্চিত করতে হবে যাতে জনগণ অবাধে নিজেদের মত প্রকাশ করতে পারেন, অবাধে ভোট দিতে পারেন এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে হবে সবার অংশগ্রহণে ও শান্তিপূর্ণভাবে।