বাকশাল কায়েম করার পরে সেটা টিকে নাই। ফলে আওয়ামী লীগ বাকশালে কেমন করে নির্বাচন ও দেশ পরিচালনা করতো তার ধারণা তখন না পাওয়া গেলেও এখন পাওয়া সম্ভব হচ্ছে। বাকশালে সব দল ও সরকার অনুগত মিডিয়া বাদে সবকিছু নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এবার ভিন্ন নামে কোন দল থাকবে তেমন নীতি না থাকলেও নীতি হলো- সব থাকবে লীগ অনুগত। নির্বাচন হবে নৌকা বনাম আওয়ামী লীগে। নিজেদের পছন্দের বাইরে কেউ বিরোধীতা করার সুযোগ পাবে না- এবারের বাকশারী মডেলে। এটাকে বলতে পারেন ডিজিটাল বাকশাল।
সব দলকে আওয়ামী পরিকল্পনা অনুযায়ী ফাংশন করতে হবে। ঠিক বাকশালে এক দল ছাড়া আর কোন দল থাকবে না এমন নীতিই এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে আবার ফিরে আসছে। বিদেশীদের দেখানোর জন্য নির্বাচন হবে নৌকার সাথে আওয়ামী লীগের ঠিক করে দেয়া ডামি প্রার্থির। এটাই প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ নির্বাচনের আওয়ামী মডেল।
এই মডেল দেখে এখন আর কারো বুঝতে বাকি নাই। এই সরকার শুরু থেকেই চায় নাই বিএনপি তাদের অধিনেও যেন নির্বাচনে আসে। যদিও বিএনপি শুরু থেকেই দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। সেই লক্ষ্যে এক দফার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে। সেই আন্দোলনে ক্র্যাকডাউন করে বিএনপিকে কারাগারে বা নেতা-কর্মিদের হুলিয়ার মুখে রেখে আওয়ামী লীগ মূলত বাকশালের দিকে যাত্রা শুরু করেছে। দেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া যেন আর কিছু নাই। আর কিছু থাকতে পারবে না। বিরোধীতা হলেও সেটা হবে লীগে লীগে বিরোধীতা। এটাই ছিল বাকশালের মৌলিক অবস্থান। সেই অবস্থানের দিকে যাত্রা শুরু আয়োজন নির্বাচনের আগেই দেখা যাচ্ছে। আর নির্বাচনের পরে এটাই তারা কায়েম করে ফেলবে। সব বিরোধী দলকে হুকুমের আইন দিয়ে বাতিল করে দিবে।
কিন্তু এখন আর দুনিয়া এতো অন্ধ না। বাংলাদেশের মানুষ বাকশাল মানে নাই। এই ডিজিটাল বাকশালও মানবে না। বিশ্ব-শক্তিও মানবে না। ফলে এইসব কূটকৌশলের পরাজয় সময়ের ব্যাপার মাত্র।
গণতন্ত্রের বিজয় অর্জনে প্রকৃত সৈনিক ও দেশ গঠনের কাজে দেশপ্রেমিদের একত্রিত হওয়ার বরং একটা সুযোগ এতে তৈরি হলো। সব দালাল ও নব্যবাকশালীদের এই আউট সোর্সিং এর সিলেশন আয়োজনের মাধ্যমে আমরা চিনে যাচ্ছি। এটাও বড় অর্জন। মুক্তিকামি জনতার প্রতিরোধ ও বিশ্ব-শক্তির চাওয়া দুইয়ে মিলের লীগের রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে অপমানজনক পরাজয় আর কোন অপশন খোলা নাই।