১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, আগামী নির্বাচন এবং আবারও ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এই সরকার ভয়ংকর খেলায় মেতে উঠেছে। তবে সরকার এবার নিজেদের পতন ঠেকাতে পারবে না। তাদের সব খেলার পরাজয় ঘটিয়ে দেশের জনগণ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করে বিজয় ছিনিয়ে আনবে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর চলমান অবরোধ সমর্থনে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তারা এসব কথা বলেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে কাকরাইল ঘুরে পল্টন মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।
জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, এই সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। এখন নিজেদের শেষ রক্ষার জন্য সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা সকাল-বিকাল দুই রকম কথা বলেন এবং আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন বিএনপি, ১২ দলীয় জোটসহ সরকারবিরোধী অন্যান্য দলগুলোকে নির্বাচনে আনার জন্য নতুন কৌশল নিচ্ছে। তবে দেশের জনগণ এই সরকারের পাতানো নির্বাচনে যাবে না।
জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, যারা গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শহীদদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আবারও একতরফা নির্বাচন করতে চায়, তারা দেশ ও জনগণের শত্রু। জনগণ এবার এ দেশে আর কোনো একতরফা প্রহসনের নির্বাচন হতে দেবে না। এবার তাদের প্রতিহত করতে হবে। জনসম্পৃক্ত চলমান আন্দোলনে সরকারের পতন ঘটবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, এই সরকার সারা দেশকে বন্দি করে রেখেছে। জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব ও সাবেক এমপি আহসান হাবিব লিংকনকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। সুতরাং দেশ রক্ষায় এই সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় দলের শামসুল আহাদ, ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব মো. ইলিয়াস রেজা প্রমুখ।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (জাফর) হান্নান আহমেদ খান বাবলু, জাগপার অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, আসাদুর রহমান খান, বাংলাদেশ এলডিপির সৈয়দ ইব্রাহিম রনক, এম এ বাশার, চাষী এনামুল, আবদুল হাই নোমান, জাতীয় দলের বেলায়েত হোসেন শামীম, জমিয়তের মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, আতাউর রহমান খান, মাওলানা এম এ কাশেম ইসলামাবাদী, লেবার পার্টির হুমায়ুন কবির, শরীফুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু, বাংলাদেশ এলডিপি যুবদলের ফয়সাল আহমেদ, মিজানুর রহমান পিন্টু, যুব জমিয়তের মুফতি কামরুজ্জামান কাসেমী, ছাত্রসমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মেহেদী হাসান, ফাহিম হোসাইন, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান ছাত্র মিশনের মো. মোসতাকিন বিল্লাহ প্রমুখ।