ভোট প্রচারে বেড়িয়ে রাজনীতিবিদরা নানারকমের কর্মকাণ্ড করে থাকেন। আজ মহাসমারোহে মনোনয়নপত্র জমা দেবার আগে সোমবার দিনভর সংখ্যালঘুদের বার্তা দিতে চেষ্টার ত্রুটি রাখলেন না বিজেপির নির্বাচনী প্রচারের প্রধান মুখ নরেন্দ্র মোদি। নির্বাচন পর্বে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের পরেই প্রচারে মেরুকরণকে অস্ত্র করেছিলেন মোদি। কিন্তু প্রতিটি পর্বে ভোটদানের হার কমার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ থেকেই তিনি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে খুশি করার দিকে জোর দিয়েছেন। সেইমতো পাটনার গুরুদ্বার পাটনা সাহিবে প্রবেশ করেই প্রণাম করতে যান প্রধানমন্ত্রী। ঢোকার মুখে এক শিশুর সঙ্গে মজা করে হাতও মেলান তিনি।মাথায় পাগড়ি বেঁধে গুরুদ্বারের লঙ্গরে সেবাও করতে দেখা যায় তাকে।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, খালি পায়ে মাথায় শিখদের ঐতিহ্যবাহী পাগড়ি পরে একটি স্টিলের বালতি হাতে খাবার পরিবেশন করছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে খাবার পেয়ে তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন ভক্তরা। শুধু তাই নয়, আরও একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে গুরুদ্বারের রন্ধনশালায় উপস্থিত প্রধানমন্ত্রী। সেখানে বাকিদের সঙ্গে রুটি তৈরি করছেন তিনি। সাদা কুর্তা, উপরে ধূসর জহরকোট এবং মাথায় কমলা পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীকে দেখে অনেকেই বিস্মিত হন।
প্রধানমন্ত্রীর সেই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই ভরে গেছে কমেন্টের বন্যায় । কেউ তার প্রশংসা করেছেন তো কেউ ভোট প্রচারের কৌশল বলে কটাক্ষ করেছেন। কেউ আবার বলছেন, বিহার থেকে পাঞ্জাবের নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কারও মতে, ‘উনি অত্যন্ত ভালো অভিনেতা মুহূর্তে মুহূর্তে ড্রামা করেন।’
পাটনায় শিখদের পাঁচটি তখতের মধ্যে এই হরিমন্দিরজি পাটনা সাহেব গুরুদ্বার অত্যন্ত জনপ্রিয়। গুরু গোবিন্দ সিংয়ের জন্মস্থানকে চিহ্নিত করার জন্য ১৮ শতকে মহারাজা রঞ্জিত সিং এই তখতগুলি নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলেন। পাটনায় মেগা রোড শোতে সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এবার এনডিএ অনায়াসেই ৪০০ আসন জিতবে’।