আফগানিস্তানে মসজিদে বন্দুকধারীর হামলা, ৬ জন নিহত

0
53

একজন বন্দুকধারী পশ্চিম আফগানিস্তানের একটি মসজিদে হামলা চালিয়ে ছয়জনকে হত্যা করেছে। দেশটির  স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল মতিন কানি বলেছেন, হেরাত প্রদেশের গুজারা জেলার আন্দিসেহ শহরে রাতের দিকে এক অজ্ঞাতপরিচয়ের সশস্ত্র ব্যক্তি একটি মসজিদে ঢুকে মুসল্লিদের ওপর গুলি চালায় । তিনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ লিখেছেন -‘ছয় বেসামরিক নাগরিক শহীদ হয়েছেন এবং একজন বেসামরিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।’

স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে স্থানীয় মিডিয়া চ্যানেল টোলো জানিয়েছে, মসজিদটি আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু শিয়া সম্প্রদায়ের। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলায়  একজন ইমামও নিহত হয়েছেন। কাবুলে ইরানি দূতাবাস হামলার নিন্দা জানিয়েছে।

আইএসআইএল (আইএসআইএস) সশস্ত্র গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেছে। আইএসআইএল-এর আঞ্চলিক শাখা আফগানিস্তানে সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা হুমকির কারণ এবং প্রায়ই শিয়া সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে হামলা চালায় তারা। তালেবান সরকার ২০২১ সালের আগস্টে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কিন্তু পর্যবেক্ষকরা বলছেন যে, তারা সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কিছু করতে পারেনি। ২০২২ সালে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে আইএসআইএল-এর সাথে যুক্ত সবচেয়ে কুখ্যাত আক্রমণটি সংঘটিত হয়েছিলো কাবুলের একটি শিয়া পাড়ায়। একটি শিক্ষা কেন্দ্রে আত্মঘাতী বোমা হামলায় কমপক্ষে ৫৩ জন নিহত হয়েছিল। তালেবান কর্মকর্তারা হামলার জন্য আইএসআইএলকে দায়ী করে।

বিজ্ঞাপন

কাবুলের নতুন শাসকরা দাবি করেছেন যে, তারা আফগানিস্তান থেকে আইএসআইএলকে নির্মূল করেছে।

তালেবান কর্তৃপক্ষ প্রায়শই নিরাপত্তা হুমকি কমানোর আপাত প্রচেষ্টায় বোমা এবং বন্দুক হামলার পর প্রকৃত মৃতের সংখ্যা সামনে আনছে না। জানুয়ারিতে প্রকাশিত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, আফগানিস্তানে ‘তালেবানের সন্ত্রাস-বিরোধী প্রচেষ্টার’ কারণে আইএসআইএল হামলা কমেছে। তবে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে আইএসআইএলের এখনও দেশে ‘উল্লেখযোগ্য’ নিয়োগ রয়েছে এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীটির এই অঞ্চল এবং তার বাইরেও হুমকি দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।

আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং মধ্য এশিয়ায় বিস্তৃত আইএসআইএলের শাখা মস্কোর ক্রোকাস সিটি হল কনসার্ট ভেন্যুতে মার্চে হামলার দায় স্বীকার করেছিল। যেখানে ১৪০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। গত দুই দশকের মধ্যে এটিই ছিল রাশিয়ায় সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।

সূত্র : আলজাজিরা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here