সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে মুখ খুললেন পুলিশের সাবেক আইজি ড. বেনজীর আহমেদ। শনিবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের জবাব দিয়েছেন। তার নামে থাকা বিভিন্ন সম্পদ ও ব্যবসা নিয়ে সংবাদপত্রে যে তথ্য এসেছে তার সব সঠিক নয় বলেও দাবি করেন তিনি।
বলেন, ব্যবসা ও সম্পদের বিষয় খবরে তিলকে তাল বানিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘আমার কিছু কথা’ শিরোনামে ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, গোপালগঞ্জের পারিবারিক কৃষি খামারের ভূমির পরিমাণ যা উল্লেখ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। জমির সকল তথ্য ট্যাক্স ফাইলে উল্লেখ আছে। এছাড়া আমার পরিবারের সদস্যদের জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বেশ কিছু তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। যা আমাকে মারাত্নকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। আমার এবং আমার পরিবারের ঢাকা এবং ঢাকার বাহিরের সম্পত্তির তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। বেতন ভাতার হিসাব কাল্পনিক এবং ভুল।
তিনি বলেন, বেস্টওয়েস্টার্ন হোটেলে ৩৫ কোটি শেয়ারের মধ্যে আমাদের দুই লাখ শেয়ার আছে, যার দাম ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। পদ্মা ব্যাংক ও কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যলয়ে আমাদের কোনো শেয়ার নেই। দুবাই, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডে আমাদের কোনো জমি নেই।
সেন্টমার্টিনে নারিকেল বাগান নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেখানে যে জমি আছে তার পরিমাণ সংবাদে উল্লেখিত পরিমাণের চেয়ে অনেক কম। এছাড়া ঢাকার মগবাজারে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট থাকার বলা হয়েছে। এই এলাকা এবং আশপাশের এলাকায় এমন কোনো ফ্ল্যাট নেই আমার। তিনি বলেন, বসুন্ধরা এলাকায় মেয়ের বিশ্রামের জন্য ফ্ল্যাট কেনার বিষয় সংবাদে উল্লেখ করা হলেও সেখানে এমন কোনো ফ্ল্যাট নেই। একটি অসমাপ্ত ফ্ল্যাট কেনা হলেও পরবর্তীতে ব্যবহারযোগ্য না হওয়ায় বিক্রি করে দেয়া হয়। তিনি বলেন, তার পরিবারের যে ব্যবসা ও সম্পদ আছে তার হিসাব করের নথিতে রয়েছে।