প্রতিশোধ নিতে ইসরাইলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে ইরান। শনিবার দিবাগত রাতে ভয়াবহ হামলা চালায় ইরান। ফলে রাতটি ইসরাইলিদের কাছে আতঙ্কের রাতে পরিণত হয়। বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরণ হয়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কন্সুলেটে নৃশংস হামলা চালিয়ে ইরানের রেভুলোশনারি গার্ডের কমান্ডার মোহাম্মদ রেজাসহ সহ বেশ কয়েকজনকে হত্যা করে ইসরাইল। এরপরই ইরান বদলা নেয়ার হুমকি দেয়। সেই থেকে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মধ্যপ্রাচ্যে। তারই ধারাবাহিকতায় ইরান হামলা চালিয়েছে। এর ফলে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যকার যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার যে আতঙ্ক বিরাজ করছিল, তা সত্যে পরিণত হচ্ছে। আর এ যাবতকালের মধ্যে এটাই ইরান থেকে ইসরাইলের ভিতরে সরাসরি হামলা।
ইসরাইল ও তার মিত্ররা দাবি করেছে, ইরান থেকে ছোড়া কমপক্ষে ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই নিষ্ক্রিয় করেছে। তারা দাবি করেছে, খুব কম সংখ্যকই লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে।
বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্রকে ভূপাতিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ হামলাকে কাণ্ডজ্ঞানহীনের কাজ বলে নিন্দা জানিয়েছেন বৃটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্ট শেপস। এ নিয়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ইরানের হামলাকে ভয়াবহ, নৃশংস আখ্যায়িত করে জি৭ নেতাদের আজ রোববার জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছেন জো বাইডেন। নেতানিয়াহুকে তিনি বলেছেন, ইসরাইলকে আয়রনিক বা দৃঢ় সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বলেন, আমি নেতানিয়াহুকে বলেছি ইসরাইলের আত্মরক্ষার যথেষ্ট সক্ষমতা আছে।
ইরানের হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়েছে জার্মানি। তেহরানকে তারা সতর্ক করে বলেছে- এই হামলা আঞ্চলিক যুদ্ধের ঝুঁকি সৃষ্টি করবে। এই হামলাকে জার্মানি দায়িত্বজ্ঞানহীন ও অযৌক্তিক বলে আখ্যায়িত করেছে।
এর আগে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি শনিবার রাতে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরাইলের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলা হয়, ইরানের স্বার্থে আঘাত হানার যেকোনো প্রচেষ্টায় আমেরিকা অংশগ্রহণ করলে মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন লক্ষ্যবস্তুগুলোতে ‘নিষ্পত্তিমূলক ও অনুশোচনা সৃষ্টিকারী’ হামলা চালানো হবে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সব ধরনের ধ্বংসযজ্ঞের পুরো দায় আমেরিকার এবং এই শিশু হত্যাকারী সরকার যদি এখনই থেমে না যায় তাহলে পরবর্তী যেকোনো পরিস্থিতির জন্য তেল আবিবকে দায়ী থাকতে হবে। বিবৃতিতে ইরানের বিরুদ্ধে হামলায় তৃতীয় যেকোনো দেশকে তার ভূমি ব্যবহার করতে দেয়ার ব্যাপারেও সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।