রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের তালতলা এলাকার একটি বাসা থেকে এক ব্যক্তি ও তার ছেলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় তার মেয়েকেও গুরুতর জখম অবস্থায় পাওয়া গেছে।
নিহতরা হলেন- মশিউর রহমান (৫০) ও তার ছেলে সাহদাব (১৬)। সাহদাব রাজধানীর একটি কলেজে উচ্চমাধ্যমিকের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, মশিউরকে ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। আর সাহদাব রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে ছিল। এ সময় ঘরে স্কুলপড়ুয়া মশিউরের একমাত্র মেয়েকেও গুরুতর জখম অবস্থায় পাওয়া গেছে।
বাবা–ছেলের লাশ উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আর মশিউরের মেয়েটিকে একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) রুবায়েত ফেরদৌস গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শেরেবাংলা নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজীব দে বলেন, মশিউর রহমান প্রকৌশলী ছিলেন। তিনি একটি আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। বছর তিনেক ধরে তার চাকরি নেই। পরে ব্যবসা করতে গিয়েও তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ নিয়ে পরিবারে অশান্তি ছিল।
তিনি বলেন, ঘটনার আগে মশিউরের স্ত্রী প্রাইভেট পড়াতে বাইরে গিয়েছিলেন। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বাবা মশিউর রহমান প্রথমে ছেলে সাহদাব ও মেয়েকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। পরে তিনি রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. ইমরান হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হতাশা থেকে ছেলে–মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন মশিউর রহমান। কেন এ ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে যাবতীয় তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।