বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, প্রভু আর ক্রীতদাস মিলে দেশের মানুষ হত্যা করছে। দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মতো ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ডাকাত দলের হাত থেকে দেশকে ও দেশের মানুষকে রক্ষা করতে হবে।
আজ রবিবার দিনাজপুর-৬ নির্বাচনী এলাকার উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী আমাদের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে। আমাদের ডাকাত সরকারের উপদেষ্টা এর প্রতিবাদ না করে বলেন দেশের মানুষের সমস্যা রয়েছে। নিজের দেশের মানুষ নিয়ে দুশ্চিন্তা নেই। কারণ এর প্রতিবাদ করার সাহস কিংবা যোগ্যতা তাদের নেই। সরকারের লোকজন নিজেরাই বলে ওমুক দেশ পাশে ছিল বলে তারা ক্ষমতায়। কখন একজন আরেকজনকে ক্ষমতায় রাখে। যখন কেউ দালালে পরিণত হয়। অবশ্য ডাকাত দল এখন প্রতিবেশী দেশের ক্রীতদাসে পরিণত হয়েছে।
তারেক রহমান বলেন, প্রভু দেশ সীমান্তে মারছে। আর তাদের ক্রীতদাস দেশে মারছে। ক্রীতদাস সরকারের সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরারকে হত্যা করেছে। কী ছিল তার অপরাধ? ফেনী নদী থেকে ভারত পানি নিয়ে যাচ্ছিল বলে তার প্রতিবাদ জানিয়েছিল। প্রভু আর ক্রীতদাস মিলে দেশের মানুষ হত্যা করছে। তারা মানুষের ওপর চেপে বসেছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশের তরুণরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদেশে যায়। সাগরে ডুবে মারা যায়। এভাবে কষ্ট করে দেশে রেমিটেন্স পাঠায়। দেশে তাদের কর্মসংস্থান হয় না। অথচ প্রতিবেশী দেশের লোকজন আমাদের দেশে এসে কাজ করছে। টাকা নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে জেলে নেয়, নির্যাতন করে। পাহাড়ে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা ঘটলো তারা আগেভাগে টের পেলো না। গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন টের পেলো না। অথচ বিএনপি কিছু না করলেও তারা বলে বিএনপি এটা করবে, বিএনপি ওটা করবে। এরা মানুষের জানমাল রক্ষা করতে পারে না।
তারেক রহমান বলেন, সরকার বিচার বিভাগ শেষ করে দিয়েছে। আজকে তাদের ন্যায় বিচার করার ক্ষমতা নেই। সরকারের লোক গেলে এক বিচার আর বিএনপির লোকেদের জন্য আরেক বিচার।