বৃটেনে প্রথমবারের মতো মানুষের দেহে সোয়াইন ফ্লুর স্ট্রেইন এইচ১এন২ শনাক্ত করা হয়েছে। এই ভাইরাস শূকরের শরীরে থাকে। বৃটিশ স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিষয়ক এজেন্সি ইউকেএইচএসএ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলে খবর দিয়েছে অনলাইন ম্যানচেস্টার ইভনিং নিউজ। তবে এতে বলা হয়নি এই স্ট্রেইন মহামারী পর্যায়ের কিনা। আগের পাওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ইউকেএইচএসএ বলেছে, এর আগে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন স্থানে মানুষের শরীরে যে সোয়াইন ফ্লু পাওয়া গেছে বৃটেনে শনাক্ত হওয়া স্ট্রেইন তার থেকে আলাদা। কারণ এই ভাইরাস বৃটেনে শূকরের দেহে পাওয়া ভাইরাসের মতোই।
এর আগে ২০০৯ সালে মানুষের মধ্যে সোয়াইন ফ্লু এইচ১এন১ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে। একে সাধারণভাবে সোয়াইন ফ্লু হিসেবে তখন নাম দেয়া হয়। তবে বর্তমানে এই ফ্লু মানুষের দেহে মৌসুমের বিভিন্ন সময় দেখা দেয়। বিশ্বজুড়ে মানুষের দেহে এইচ১এন২ স্ট্রেইন পাওয়ার ঘটনা প্রায় ৫০টি। শূকরের শরীরে সোয়াইন ফ্লু ‘এ’ ভাইরাসের বড় সব সাব-টাইপ হলো এইচ১এন১, এইচ১এন২ এবং এইচ৩এন২।
এসব ভাইরাস মাঝে মধ্যে মানুষের দেহে সংক্রমিত হয়।
বৃটেনে ইউকেএইচএসএ এবং রয়েল কলেজ অব জিপিএস জাতীয় পর্যায়ে ফ্লু বিষয়ে নিয়মিত নজরদারি করে। তারই অধীনে মানুষের দেহে প্রথমবার শূকরের দেহের ওই ফ্লুর স্ট্রেইন শনাক্ত হয়েছে। যে ব্যক্তির দেহে এই ফ্লু পাওয়া গেছে, তার শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছিল। তবে নর্থ ইয়র্কশায়ারের ওই ব্যক্তি কখনো শূকরের সংস্পর্শে যাননি। কিভাবে তিনি সংক্রমিত হয়েছেন তা জানা যায়নি। এ নিয়ে অনুসন্ধান চলছে। কিভাবে ওই ব্যক্তি সংক্রমিত হলেন তা ঘনিষ্ঠভাবে ইউকেএইচএসএ মনিটরিং করছে বলে জানিয়েছে। তারা এই ভাইরাসের চরিত্র সম্পর্কে এবং মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য তা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ তাও জানার চেষ্টা করছে।
এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে কাশি, হাঁচি, নাক দিয়ে সর্দি ঝরা, গলায় ব্যথা, মাথা ব্যথা, মাংসপেশী ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, বুকে শব্দ হওয়া, উচ্চ তাপমাত্রা ইত্যাদি।