টেস্টে টানা পাঁচ ইনিংসে ২শ’র নিচে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। সবশেষ গেল বছর মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪৪ ও ১৭৭ রানে অলআউট হয়। এরপর এই বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দুই ম্যাচের তিন ইনিংসে সেই ব্যাটিং ব্যর্থতা থেকে বের হতে পারেনি। দুই ম্যাচে টানা তিন ইনিংসে ১৮০, ১৮৮ ও ১৭৮ রানে সবক’টি উইকেট হারায়। শঙ্কা ছিল গতকালও। শ্রীলঙ্কার ছুড়ে দেয়া ৫১১ রানের জবাব দিতে নেমে ১৩২ রানের ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে। সেখান থেকে অবশ্য আরও তিন উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত স্কোর বোর্ডে যোগ করে ২৬৮ রান। টানা পাঁচ ইনিংস পর ২শ’র কোটা পার করতে সক্ষম হয়। যদিও এই ম্যাচেও বড় হারের মুখোমুখি টাইগাররা। চট্টগ্রাম টেস্টের আজ পঞ্চম দিনে জিততে হলে করতে হবে ২৪৩ রান।
তবে হাতে আছে মাত্র ৩ উইকেট। ক্রিজে ৪৪ রান করে অপরাজিত আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাকে ১০ রান করে সঙ্গ দিচ্ছেন তাইজুল ইসলাম। এই দুই ব্যাটারের ওপর নির্ভর করছে আজ শেষ দিন কতোটা কম ব্যবধানে হার এড়ানো যায়। তবে ব্যাটাররা নিজেদের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে না আসলে হয়তো এই ম্যাচ জয়ও সম্ভব ছিল! কারণ হাতে দুই দিন ব্যাট করার সুযোগ ছিল টাইগার ব্যাটারদের সামনে।
গতকাল ধুঁকে ধুঁকে লড়াই করে চট্টগ্রাম টেস্টের খেলা পঞ্চম দিনে নিয়ে গেছে নাজমুল হাসান শান্তর দল। তবে ৭ উইকেট চলে যাওয়ায় আরেকটি বড় হারই চোখ রাঙাচ্ছে। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়া বাংলাদেশের জন্য এখন কেবলই সময়ের ব্যাপার। ব্যাট করতে নেমে সাজঘরে ফেরা সাত ব্যাটারের সবাই দুই অঙ্কে পৌঁছান। তবে ফিফটি স্পর্শ করতে পারেন কেবল মুমিনুল হক সৌরভ। অভিজ্ঞ বাঁহাতি ব্যাটার ৫৬ বলে ৫০ রানে থামেন। তিনি হাঁকান ৮ চার ও ১ ছক্কা।
এর আগে ৭ উইকেটে ১৫৭ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। তখন তাদের লিড ছিল ৫১০ রানের। তারা ৬ উইকেটে ১০২ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল। ৩৯ রানে অপরাজিত থাকা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস আউট হন ফিফটি করে। সাকিব আল হাসানের শিকার হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫৬ রান। ৭৪ রান মোকাবিলায় তার ব্যাট থেকে আসে ৫ চার। প্রভাত জয়সুরিয়া ৬৭ বলে ২৮ ও বিশ্ব ফার্নান্দো ১৬ বলে ৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
অন্যদিকে রেকর্ড রান তাড়া করতে নেমে ৫০ পেরোতেই দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ৩৭ রানে প্রভাত জয়সুরিয়ার শিকার হন মাহমুদুল হাসান জয়। ৩২ বলে ২৪ রান আসে তার ব্যাটে। ১৯ রানে ইনিংস শেষ হয় জাকির হাসানের। তিনে নেমে সিরিজে প্রথমবার দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছালেও ২০ রানের বেশি করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে মুমিনুল হক ধরে রাখেন হাল। তুলে নেন ফিফটিও। কিন্তু এরপর আর ইনিংস বড় করতে পারেননি, ৫৬ বলে ৫০ রানেই শেষ হয় তার ইনিংস। ১৩২ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর সাকিব-লিটন জুটি খানিকটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা চালায়। তবে দু’জনের কেউই পারেননি ইনিংস বড় করতে। দলীয় সংগ্রহ ২শ’ ছোঁয়ার আগেই ফেরেন দু’জনে। সাকিব ৩৬ ও লিটন ফেরেন ৩৮ রানে। দ্রুত ফেরেন তরুণ শাহাদাত দিপুও, ৩৪ বলে ১৫ রান করেন তিনি। এরপর দলের হয়ে লড়াই চালিয়ে যান মিরাজ ও তাইজুল।