২০১৯ সালেই এই বিতর্কিত আইনটি পাস হয়েছিল। এতে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী মুসলিম প্রধান দেশগুলো থেকে সংখ্যালঘুরা যদি ভারতে আশ্রয় চায়, তাহলে তাদেরকে নাগরিকত্ব দেয়া হবে। মূলত বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে ভারতে আশ্রয় নেয়া হিন্দু, পারসি, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন ও খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দিতে এই আইন পাশ হয়েছিল। এবার লোকসভা ভোটের আগে সেই আইন চালু হলো।
এ নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। তবে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, আইনে পরিণত হলেও প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে সিএএ-র ধারা-উপধারা যুক্ত হয়নি। ফলে বাস্তবে এই আইন কার্যকরও হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট সই করার ছয় মাসের মধ্যে আইনের নির্দিষ্ট ধারা-উপধারা যুক্ত করতে হয়। অন্যথায় লোকসভা কিংবা রাজ্যসভার নির্দিষ্ট কমিটিগুলির কাছে বিশেষ অনুমতি নিতে হয়।
এ ক্ষেত্রে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০২০ সাল থেকে আইন কার্যকর করার সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদন জানিয়ে আসছিল। এই বিলম্ব নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে কটাক্ষও করছিল বিরোধী দলগুলি।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, লোকসভা নির্বাচনের আগেই দেশে সিএএ কার্যকর হবে। শুধু তা-ই নয়, শাহ এ-ও বলেছিলেন, শীঘ্রই সিএএ কার্যকরের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে যাবে। তার সেই দাবির সত্যতা জানা গেলো।