চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশ নিতে চাইছিলেন না ইলিয়াস কাঞ্চন। অনেক অনুরোধ শেষে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হন। এরপর চলচ্চিত্র শিল্পীদের ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হন। এর মধ্যে পেরিয়ে গেছে দুই বছরের মেয়াদ। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বার্ষিক বনভোজনে অনেক দুঃখ নিয়ে বিদায় নেওয়ার কথা জানান।
সম্প্রতি ঢাকার পার্শ্ববর্তী আশুলিয়াতে একটি বিনোদনকেন্দ্রে শিল্পী সমিতির পিকনিকে ইলিয়াস কাঞ্চন জানিয়েছেন, কমিটির নির্বাচিত সদস্যদের অসহযোগিতার কারণে এমনটা হয়েছে। এ আক্ষেপ নিয়ে সমিতি থেকে বিদায় নেন বলে জানান ইলিয়াস কাঞ্চন।
যেখানে ইলিয়াস কাঞ্চন সভাপতি, সেখানে কাঞ্চনের পাশে আপনারা দাঁড়ান না। এই দুঃখ নিয়ে সমিতি থেকে বিদায় নিচ্ছি। আজ আমাকে যদি অসম্মান করেন, তাহলে সেই অসম্মান কিন্তু আমার একার নয়, সেই অসম্মান পুরো শিল্পীসমাজের।
ক্ষোভ প্রকাশ করে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘নির্বাচনের পর থেকেই সমিতির একটা পদ নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা কত কিছু হয়েছে। কিন্তু শিল্পী সমিতি ও শিল্পীদের স্বার্থ তো আলাদা জিনিস। এই বিষয়ই কেউ বুঝতে চাইল না। আপনারা শিল্পীদের স্বার্থ কী করে ভুলে যান? যেখানে ইলিয়াস কাঞ্চন সভাপতি, সেখানে কাঞ্চনের পাশে আপনারা দাঁড়ান না। এই দুঃখ নিয়ে সমিতি থেকে বিদায় নিচ্ছি। আজ আমাকে যদি অসম্মান করেন, তাহলে সেই অসম্মান কিন্তু আমার একার নয়, সেই অসম্মান পুরো শিল্পীসমাজের, চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির।’
যোগ্য ব্যক্তিকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, কারও কথা ও অর্থ দ্বারা প্ররোচিত হবেন না। টাকার লোভে পড়ে দুই বছরের জন্য সর্বনাশ করবেন না।
আগামী এপ্রিলে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে আর অংশ নেবেন না, এটা পরিষ্কার বলে জানান ইলিয়াস কাঞ্চন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন না করলেও সব সময় সমিতি ও শিল্পীদের পাশে থাকব। এই শিল্পী সমিতি আমাদের সমিতি। আজ আমি যা কিছু, তার সবকিছু একজন শিল্পী হিসেবেই অর্জন করেছি। এই ইন্ডাস্ট্রি থেকেই অর্জন করেছি। সুখে-দুঃখে যখন প্রয়োজন হবে, তখন আমাকে পাবেন।’ যোগ্য ব্যক্তিকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, কারও কথা ও অর্থ দ্বারা প্ররোচিত হবেন না। টাকার লোভে পড়ে দুই বছরের জন্য সর্বনাশ করবেন না। আপনার বিবেককে প্রশ্ন করবেন, যাঁকে ভোট দেবেন, তিনি কি আপনার ও ইন্ডাস্ট্রির জন্য কাজ করবেন? শিল্পী সমিতি ও শিল্পীদের স্বার্থ যাঁরা পরিপূর্ণভাবে রক্ষা করবেন, তাঁদের বিবেচনা করবেন।’