বাংলাদেশকে ভারতের আধিপত্যবাদের অন্তর্ভুক্ত করতেই পিলখানায় সেনা হত্যাকাণ্ড

0
25
পিলখানা ট্র্যাজেডি স্মরণে লন্ডনে ‘রাইটস অফ দ্যা পিপল’র বিক্ষোভ

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সেনা অফিসার হত্যাকাণ্ডের স্মরণে ও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে বক্তারা বলেছেন, বাংলাদেশকে ভারতীয় আধিপত্যবাদের অন্তর্ভুক্ত করতে চুড়ান্ত পদক্ষেপ হিসাবে পিলখানায় সেনা অফিসার হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল। একটি সাজানো ও সমঝোতার নির্বাচনের মাধ্যমে ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় বসানো হয় শেখ হাসিনাকে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় বসার দেড় মাসের মধ্যেই পিলখানায় সেনা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পূর্ব পরিকল্পিত এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেওয়ার পাশাপাশি বিডিআরকে বিলুপ্ত করা হয়েছে। ভারতের নীল নকশায় শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন বক্তারা।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ‘রাইটস অফ দ্যা পিপল’র উদ্যোগে পূর্ব লন্ডনের শহীদ আলতাব আলী পার্কে সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভে বক্তারা বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা শফিকুর রহমানসহ সকল রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির দাবি জানান।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশকে ভারতের করদরাজ্যে পরিণত করতেই পিলখানায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এক সাথে ৫৭ জন চৌকস সেনা অফিসারকে হত্যা দেশকে নেতৃত্বশূন্য করার সুগভীর ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ। উক্ত ঘটনার সাথে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ জড়িত যা উইকিলিক্সের গোপন নথিতে প্রকাশিত হয়েছে। মূলত বিডিআরকে ধ্বংস করে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙ্গে দেয়াই ছিলো আধিপত্যবাদী ভারতের মূল টার্গেট। বাংলাদেশের গণতন্ত্র হত্যাসহ দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিধ্বংসী কাজে এখনো ভারত অন্ধভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে বিজয়ী না হলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, জামায়াতের আমীর ডা শফিকুর রহমাসহ বাংলাদেশের জনগণ মুক্তি সম্ভব নয়। তাই দেশপ্রেমিক জনতাকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী গর্জে উঠতে হবে।

সংগঠনের সভাপতি আসাদুজ্জামান সাফি’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমার দেশ পত্রিকা ইউকের নির্বাহী সম্পাদক অলিউল্লাহ নোমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা ও সাবেক ছাত্রনেতা সৈয়দ জুলকারনাইন জুম্মা।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম মাসুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল আমিন, সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম আনহার, সহ-সাধারন সম্পাদক রোহান তারিক প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here