জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপার সহ-সভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা রাশেদ প্রধান বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ওপর ভারতীয় দখলদারিত্ব চলছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত বন্ধু সেজে ‘উইপোকার’ মতো বাংলাদেশের সব কিছু খেয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, আগামী একশত বছরের সম্পদ ভারত বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পন্থায় লুটপাট করে নিয়ে গেছে।
রোববার ( ২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা আয়োজিত ” ভারতীয় আগ্রাসন মুক্ত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে ও ভারতীয় পরিকল্পনায় পিলখানা সেনা হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ প্রধান বলেন, বাংলাদেশে বিগত জাতীয় নির্বাচনগুলোতে ভারত তাদের সকল অবৈধ ব্যবস্থায় শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখেছে। তবে এসবের আলামত ভালো নয়! ভারত বাংলাদেশের শিক্ষা, চিকিৎসা এবং গণতন্ত্রকে নিদারুণ ভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। বাংলার সীমান্তে পাখির মতো বাংলাদেশিদের হত্যা করা হচ্ছে। বিজিবি’র সদস্যদের মেরে লাশ পাঠাচ্ছে। আজ দেশবাসীর জিজ্ঞাসা, ভারতের বিরুদ্ধে কথা বললে আওয়ামী ওয়ালাদের জ্বলে ওঠে কেন?
রাশেদ প্রধান বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা চরম বিপর্যয়ে। ডলারের সংকটে দেশে আমদানি অর্ধেকে নেমে এসেছে। লুটপাট এবং অর্থ পাচারের কারণে ব্যাংক গুলোতে চরম রিজার্ভ সংকট দেখা দিয়েছে। পর্যাপ্ত গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটের কারণে শিল্প-কারখানা বন্ধের পথে! দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষের জীবন মৃত্যু শয্যায়।
সুতরাং শেখ হাসিনা সরকার বেশি দিন ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ পঙ্গু রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানা হত্যাকাণ্ড দেশি -বিদেশি ষড়যন্ত্রে হয়েছিল এবং আওয়ামী লীগ ও ভারতের নীরবতা প্রমাণ করে পিলখানায় ৫৭ জন চৌকস সেনা অফিসার হত্যার দায় শেখ হাসিনা এবং ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এড়াতে পারে না।
তিনি ২৫ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ সেনা দিবস ঘোষণার দাবি জানিয়ে বলেন, বাংলার মাটিতে একদিন পিলখানার নৃশংস হত্যায় জড়িতদের বিচার করা হবে।
তিনি দেশ রক্ষার প্রয়োজনে এবং শেখ হাসিনা সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত দেশবাসীকে গণতান্ত্রিক আন্দোলন শরিক হবার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ প্রতিবেশী রাষ্ট্রের অঙ্গ-রাজ্যে পরিণত হবে।
যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলুর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মোঃ ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব প্রফেসর আব্দুল করিম, জাগপার প্রেসিডিয়াম সদস্য আবু মোজাফফর মোহাম্মদ আনাছ, আসাদুর রহমান খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আবু হানিফ, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি রকিবুল ইসলাম রিপন, বাংলাদেশ লেবার পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শরিফুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শওকত আমিন, জাগপা সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক রওশন আলম আকন্দ, যুব জাগপা নেতা আনোয়ার হোসেন, জনি নন্দী প্রমুখ।