ইন্ডিয়ার ইন্ধন আর রাজনৈতিক মদদে পিলখানা হত্যাকাণ্ড: বিজিবির সাবেক ডিজি লে. জে.(অব.) মইনুল ইসলাম

0
37

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ১৫ বছর আজ। ২০০৯ সালের এ দিনে নির্মম হত্যাযজ্ঞে প্রাণ হারান অনেক সেনা কর্মকর্তা ও তাদের স্বজনরা। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহের পর ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সাল থেকে ৯ মে ২০১০ সাল পর্যন্ত বালাদেশ রাইফেলস্-বিডিআরর মহাপরিচালক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন লেফটেন্যন্ট জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলাম। পিলখানার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে তদন্তও করেছেন সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের ২০ থেকে ২১ দিন আগেই বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা হয়েছিল। ঘটনার কয়েক দিন আগে থেকে তৎকালীন ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের লোকজন বিডিআর সদস্যদের দাবি-দাওয়া নিয়ে বেশ সরব হয়ে ওঠেন। তাদের সাথে বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত বিডিআরের বেশ কিছু সদস্যও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল বলে তদন্তে উঠে আসে-এমনটাই জানান ।

বিডিআর বিদ্রোহ ও পিলখানায় নৃশংস হত্যাযজ্ঞে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এর ৪৮ ঘণ্টার মাথায় বিধ্বস্ত বাহিনীটির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান তৎকালীন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মইনুল ইসলাম।

তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ রাইফেলসের নাম পরিবর্তন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি করা হয়। জুলাই ২০১৫ সালে তিনি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার হন। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন তিনি। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসের জঘন্যতম এ ঘটনার তদন্ত এবং নানা দিক নিয়ে বাংলা আউটলুকের সঙ্গে কথা বলেন লেফটেন্যন্ট জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলাম। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বাংলা আউটলুকের ঢাকা প্রতিনিধি।

বিদ্রোহের ৪৮ ঘন্টার মাথায় ২৮ ফেব্রুয়ারি আপনাকে তৎকালীন বিডিআর’র দ্বায়িত্ব দেয়া হলো; পিলখানায় গিয়ে কী দেখলেন?

লেফটেন্যন্ট জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলাম: চারদিকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও গ্রেনেড ছড়ান-ছিটান। সেখানে যে ধরনের হত্যাযজ্ঞ হয়েছে, তার তেমন কোনো আলামত ছিল না। কোনো রক্তের চিহ্ন নেই। খুব যত্নে ধুয়ে-মুছে পরিপাটি করে রাখা হয়েছে। ওই দিনই সন্ধ্যায় পিলখানা থেকে যারা বাইরে চলে গিয়েছিল, তাদের ফিরে আসার আহ্বান জানানো হয় টেলিভিশনে। আমি তখন মহাপরিচালক, আমিই জানি না। সবখানে অস্ত্রশস্ত্র, গ্রেনেড ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। আমি জানালাম, এখনই ঢোকানো যাবে না।

আপনি পরবর্তীতে যে তদন্ত কমিটি হয়েছিল, সেই কমিটিতে ছিলেন; পরিবেশ পরিস্থিতি দেখে কী মনে হয়েছিল? এটি কী হঠাৎই ঘটেছিল?

মইনুল ইসলাম: হ্যাঁ। বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল তখন সচিব ছিলেন। তিনিও ওই কমিটিতে ছিলেন। আমি সিভিলদের নিয়ে তদন্ত করার অনুরোধ করেছিলাম। সরকারকে চিঠিও দিয়েছিলাম। ঘটনার আগে-পরে চাইনিজদের বিষয়গুলোও আমলে নিতে বলেছিলাম। সেই সময়ের কন্ট্যাক্টগুলোর ব্যপারেও খোঁজ নিতে বলা হয়েছিল। ইন্ডিয়ার বিষয়েও খোঁজ নেয়া জরুরি ছিল।

চাইনিজরা ওই দিন কী করছিল?

মইনুল ইসলাম: তখন বিডিআর’র সাধারণ আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয়ের কার্যক্রম চলমান ছিল। এগুলো ছিলো স্নাইপার রাইফেল। সেগুলো চীন ডেলিভারি দেওয়ার পর সে সম্পর্কে বিডিআর সদস্যদের ধারণা দিতে একটি টিম পিলখানায় অবস্থান করছিল। ঘটনার দিন গোলাগুলি কিছুটা বন্ধ হলে তারা নিরাপদেই বের হয়ে গিয়েছিল। তদন্তে তাদের বিষয়েও খোঁজ নেয়া প্রয়োজন ছিল।

ইন্ডিয়ানদের প্রসঙ্গ আসলো কেন?

মইনুল ইসলাম: স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে ইন্ডিয়ান বিএসএফ পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বর্ডারের খুব কাছে অবস্থান নিয়েছিল। যুদ্ধের পর ইন্ডিয়ান বিএসএফ কয়েকটি ঘাঁটি ছেড়েছিল। আবার কোথাও কোথাও ছাড়েনি। বিডিআরের তুলনায় ইন্ডিয়ান বিএসএফ দুর্বল ছিল। কারণ বিএসএফের কমান্ডিংয়ে আর্মি ছিল না। কিন্তু বিডিআরের কমান্ডে ছিল আর্মি। ইন্ডিয়ান বিএসএফ তাদের ক্যাম্পের সীমা পেরিয়ে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি বিওপিতে অবস্থান করছিল সেই মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে। ১৯৭৫ সালের পর ১৯৮১ সালের আগে ইন্ডিয়ান বিএসএফকে বাংলাদেশের বিওপি ছাড়তে বাধ্য করার জন্য বেশ কয়েকটি অপারেশন শুরু হয়েছিল। অপারেশনে ইন্ডিয়ান বিএসএফ পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিল। ইন্ডিয়া এটার কাউন্টার কখনো করেনি বা করতে পারেনি। সেই সক্ষমতা বিএসএফের ছিলও না। সেই সুযোগও বিএসএফ পায়নি। ইন্ডিয়া সবসময়ই চেয়েছিল, কীভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দুর্বল করা যায়। পিলখানা হত্যাকাণ্ড ছিল মোক্ষম সময়। সেনাবাহিনীর সবগুলো মোধাবী কর্মকর্তাকে দু’দিনের মধ্যে গুলি করে মেরে ফেলা হলো। এটা সবাই সেভাবেই দেখে। এই বিষয়টিও তখন আমলে নেয়া জরুরী ছিলো, বিভিন্ন পক্ষ থেকে কথাও এসেছিল। এর ওপর পিলখানার পরিস্থিতি বিশেষ করে অস্ত্রাগারের পরিবেশ দেখে পরিষ্কার বোঝাই যাচ্ছিল এটি পরিকল্পিত ভাবেই ঘটানো হয়েছিল এবং সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ঘটনার পেছনের লোকজন ২০-২১ দিন আগেই এখানে ঢুকেছিল।

ইন্ডিয়ার সম্পৃক্ততা কি আপনাদের অনুমান ছিলো? না কোনো আলামত পেয়েছিলেন?

মইনুল ইসলাম: আমাদের কাছে মনে হয়েছে। সিম্পটমগুলো (লক্ষণ) ফুটে উঠেছিল, বিভিন্ন সময় ইন্ডিয়ান পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হয়েছিল। তারা বিরোধিতা করেছিল কেন বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড আর্মি দ্বারা পরিচালিত হয়। ইন্ডিয়া সবসময়ই বিডিআরের কমান্ডিংয়ে আর্মি এবং ১৯৮১ সালের আগের বেশ কয়েকটি অপারেশন এবং পরবর্তিতেও বেশ কয়েকটি অপারেশন নিয়ে প্রতিশোধপরায়ন ছিল। তারা চেষ্টাও করেছিল। এখানেই পরিষ্কার, এখানে ইন্ডিয়ার ইন্ধন ছিল। আমরা যখন বিডিআর (বিজিবি) রিফর্ম করি তখনও ইন্ডিয়ানদের অনেক বাধার মুখে পড়েছি। আর্মি কেন বিডিআরকে কমান্ড করে এটাও ইন্ডিয়া সহ্য করতে পারত না। সঠিক তদন্ত করলে নিশ্চয়ই বেরিয়ে আসত। আরো অনেকের সম্পৃক্ততা ছিল। তা-ও বেরিয়ে আসত।

আর কাদের সম্পৃক্ততা ছিল বলে মনে হয়েছে?

মইনুল ইসলাম: স্থানীয় রাজনৈতিক একটি পক্ষের সম্পৃক্ততা ছিল। বিদ্রোহের আগে বেশ কয়েকবার স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতারা সদর দপ্তরে বিভিন্ন ক্যম্পে দ্বায়িত্ব পালনকালে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বিডিআরের অভিযুক্ত জওয়ানদের পক্ষে দাবি নিয়ে যেতে দেখা গেছে। বিদ্রোহের দিন বিডিআরের কিছু লোক রিভেঞ্জ (প্রতিশোধপরায়ন) ছিল। তাদের সাথে আশপাশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের লোকজন ছিল। কেন বিডিআর আর্মি অফিসার দ্বারা পরিচালিত হবে- এসব নিয়ে কথাও বলেছেন তারা। ঘটনার দিন পিলখানায় গোলাগুলি চলছে, আশপাশের সাধারণ মানুষ জীবন নিয়ে নিরাপদে সরে যাচ্ছিলেন। আর পাশেই বিদ্রোহীদের পক্ষে আজিমপুরে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে আওয়ামী লীগ রাস্তায় মিছিলও করেছে। নিশ্চয়ই তাদেরও সমর্থন ছিল এই ঘটনায়। আর তারাও নিশ্চিত ছিল তাদের ওপর কেউ গুলি করবে না। সেগুলোও তদন্ত করা হয়নি। সবকটি পক্ষ মিলেই আর্মিকে শেষ করে দেয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল।

আর কী কী দুর্বলতা বা অসামঞ্জস্যতা দেখেছিলেন সেই দিন?

মইনুল ইসলাম: প্রতি বছরই একই প্রোগ্রাম হয়, একই আয়োজন থাকে। গতানুগতিকই কিছু কমিটি থাকে। কমিটিগুলোতে বিডিআরের অফিসারদেরই (ডিএডি) ইনচার্জ করা হতো। কিন্তু ওই বছরই (২০০৯ সালে) সকল কমিটির হেড করা হয়েছিল আর্মি থেকে আসা অফিসারদের। কেন আর্মি অফিসারদের প্রধান করা হলো? আর আর্মি অফিসরাদের সাথে আগ্নেয়াস্ত্র দেয়া হলো না। আগ্নেয়াস্ত্রের কমান্ডিং ক্ষমতা রাখা হলো বিডিআর অফিসারদের (ডিএডি) নিয়ন্ত্রণে। তার মানে আর্মি অফিসারদের হাতে কোনো অস্ত্র দেয়া হলো না। অস্ত্র থাকল বিডিআরদের হাতেই। এ বিষয়টিরই তো হিসেব মেলেনি। এর কারণটা কী? আগে-পরে করা হলো না; কিন্তু ওই বছর কেন করা হলো? এটা তো দরকার ছিল না। করা হলো, কিন্তু আগে যখন বিডিআর’র ডিএডিরা এই দ্বায়িত্বে ছিল, তখন আগ্নেয়াস্ত্র বহন করার অনুমোদন ছিল, কিন্তু যখন আর্মি অফিসারদের ওইসব কমিটির প্রধান করা হলো, অস্ত্র দেয়া হলো, কিন্তু বিডিআর’র নিয়ন্ত্রণে রাখা হলো কমান্ডিং পাওয়ার।

অস্ত্রাগার, গোলাবারুদের দ্বায়িত্বে কারা ছিল?

মইনুল ইসলাম: অর্মির অফিসারদের দায়িত্বে ছিল। গার্ড কমান্ডাররা তাদের গ্রেফতার করেছিল। গোলাবারুদ এবং অস্ত্রাগার সবই লুট হয়েছিল। সব তো নিয়ে বের হয়ে যায়নি। যার যখন যা লেগেছে, তারা নিয়ে বেরিয়ে গেছে। যখন হিসেব শুরু হলো, কতগুলো ছিল, কতগুলো আমরা পেলাম, তা না হলে তো স্টক (মজুত) মিলবে না। গোলাবারুদ এবং অস্ত্র সব গণনা করা হলো। সমস্ত গোলাবারুদের বক্স থাকে সিল করা। যেগুলো সিলড সেগুলো চেক করিনি। বক্সের ওপর ওজন লেখা থাকে, মেপেছি। স্যম্পল চেক করেছি, ঠিক ছিল। যেগুলো ঠিক ছিল না, সেগুলো চেক করে দেখেছি। গ্রেনেডের ভেতরে ফিউজ দেওয়া। মানে রেডি টু ইউজ (ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা)। এটা কী করে সম্ভব! গ্রেনেড এবং ফিউজ আলাদা বক্সে থাকে। এটি ছিলো অস্বাভাবিক ঘটনা। এরকম অনেকগুলো বক্স ছিল। এটি আগে থেকেই রেডি করা ছিল। তার মানে আগে থেকেই ভেতর থেকে কেউ এ কাজ করেছে। পূর্বপরিকল্পিত ভাবে করা হয়েছে। এ বিষয়টিও তদন্ত করা হয়নি। আমাদের খতিয়ে দেখতেও দেয়া হয়নি।

আপনি কী বলতে চাইছেন, এই বিদ্রোহে প্রত্যক্ষ মদদ ছিলো?

মইনুল ইসলাম: অবশ্যই ইন্ডিয়ার মদদ ছিলো। কারণ আমাদের তো আর কোনো শত্রু ছিলো না। মিয়ানমারের কিছুই করার ছিল না।

আপনাদের তদন্ত প্রক্রিয়ায় কোন প্রতিবন্ধকতা ছিলো?

মইনুল ইসলাম: আমরা ডিজিএফআই, এনএসআই, এনটিএমসি এদের যুক্ত করে তদন্ত করার কথা বলেছিলাম। কে কার কাছে কল করছে, কী বলছে। এসব বিষয় বের করার জন্য কল রেকর্ড বের করতে বলেছিলাম। এ রকম একটি অস্বাভাবিক ঘটনায় অনেক ধরনের আলামত থাকে, সেগুলো বের করা জরুরী ছিলো। কিন্তু তা করতে দেয়া হয়নি। তথ্য চেয়েও আমরা পাইনি। বলা হয়েছিল, এগুলো সিক্রেট। তাহলে আমরা তদন্ত করব কীভাবে? এ বিষয়ে সরকারকে এটা চিঠিও দিয়েছিলাম। বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল আমাদর কমিটির প্রধান ছিলেন।

তদন্তে আর কী কী অস্বাভাবিক ঘটনা পেয়েছিলেন?

মইনুল ইসলাম: আরেকটি বিষয়, আমাদের কাছে খটকা লেগেছিল। সেটি হচ্ছে পিলখানার ভেতরে দু’দিন ব্যাপী অফিসারদের হত্যা করা হচ্ছিল। ভেতর থেকে বাঁচার আকুতি শোনা যাচ্ছিল। বাইরে র‌্যাব ঘিরে রেখে ছিল। আর্মি ভেতরে ঢুকতে চেয়েছিল। কিন্তু তখন আর্মিকে বলা হয়েছিল, ভেতরে ঢুকলে দেশে গৃহযুদ্ধ বেঁধে যাবে। তাদের ঢুকতে দেয়া হলো না কেন? এখানে অবশ্যই কোনো একটা অদৃশ্য শক্তি ইশারা করেছে। তাদের নির্দেশেই আর্মিকে ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। এটা পরিষ্কার।

আপনারা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলেন?

মইনুল ইসলাম: আমরা একটা প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলাম। আলামত নষ্ট হয়ে যাওয়া, তথ্য চেয়ে না পাওয়ায় আমাদের সেই প্রতিবেদন আমলে নেয়া হয়নি। আমাদের ৭-৮ জনের ওই তদন্ত কমিটি একসাথে মিটিংও করতে পারিনি।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার শেষ হয়েছে, আপনার মন্তব্য কি?

মইনুল ইসলাম: এখানে দুই ধরনের অপরাধের বিচার হয়েছে। কিন্তু বিদ্রোহের কারণ এবং পরিকল্পনা বেরই করা হলো না।

___বাংলা আউটলুক

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here