ইরাবতির রিপোর্ট কেআইএ ও কেপিডিএফ’র যৌথ আক্রমণ, চীন সীমান্ত মিয়ানমার বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে

0
33

মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যে চীন সীমান্তবর্তী একটি সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে দেশটির জাতিগত সশস্ত্র বিদ্রোহীরা। সোমবার রাজ্যের মানশি শহরে অবস্থিত ওই ঘাঁটি বিদ্রোহীরা নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে জানিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। তারা বলেছে, কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ) ও কাচিন পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেসের (কেপিডিএফ) সঙ্গে যৌথভাবে ওই সামরিক ঘাঁটিতে আক্রমণ চালানো হয়। কয়েক দিনের তুমুল লড়াইয়ের পর জান্তা সেনারা পিছু হটলে ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নেয় বিদ্রোহীরা। শুক্রবার ওই ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার লক্ষ্যে যৌথভাবে হামলা শুরু করে তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী। চার দিনের লড়াইয়ের পর ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ পায় আরাকান আর্মি। এক বিবৃতিতে বলা হয়, ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে আকাশপথে ব্যাপক হামলা চালায় জান্তা বাহিনী। কাচিন ও শান রাজ্যের মাঝামাঝি অবস্থান হওয়ায় ওই সেনাঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা জান্তা বাহিনীর জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ড ও ২১ মিলিটারি অপারেশনস কমান্ডের অধীন চার ব্যাটালিয়ন পদাতিক সেনা ছিল ঘাঁটিতে। কেপিডিএফের এক সদস্য ইরাবতীকে বলেন, জান্তা বাহিনীর ব্যাপক বোমাবর্ষণ সত্ত্বেও আমরা ওই ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার ক্ষেত্রে সফল হয়েছি।

আমরা এখন এলাকাটি নিরাপদ করার কাজ করছি। জান্তা বাহিনী সোমবার দুপুর পর্যন্ত সেখানে বোমাবর্ষণ করে গেছে। কেআইএ’র দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চার দিনের লড়াইয়ে জান্তা বাহিনী ৬০টির বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ৬ বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here