এগিয়ে থাকল রিয়াল ও সিটি

0
68

গ্রুপ পর্বের শতভাগ সাফল্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউটেও টেনে এনেছে রিয়াল মাদ্রিদ। শেষ ষোলোর প্রথম লেগে আরবি লাইপজিগকে ১-০ গোলে হারিয়ে নিজেদের সুবিধাজনক স্থানে রেখেছে লস ব্লাঙ্কোস। অপর ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটিকে ভয় পাইয়ে দিয়েও শেষ পর্যন্ত হার দেখেছে কোপেনহেগেন। ধাক্কা সামলে ৩-১ গোলের জয় নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছে সিটিজেনরা।

মাদ্রিদ শিবিরে জুড বেলিংহ্যামের ইনজুরি বাড়তি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে এসেছিল। ৪৮ মিনিটে রিয়ালের একমাত্র গোলটি করেছেন বেলিংহ্যামের বদলে আসা ২৪ বছর বয়সী ব্রাহিম দিয়াজ। খেলার ধারার বিপরীতে একক নৈপুণ্যে জাল কাঁপিয়েছেন তিনি।

মাত্র একটি গোলে জয় নিশ্চিত হলেও মাদ্রিদ গোলকিপার আন্দ্রি লুনিনকে ত্রাতা বলতে হবে। বেশ কয়েকবার আক্রমণ হেনেছিল লাইপজিগ। সেগুলো সেভ করে দলটাকে রক্ষা করেছেন তিনি। তাতে এই মৌসুমে টুর্নামেন্টের সপ্তম জয়ের দেখা পেয়েছে আনচেলত্তির শিষ্যরা।

ম্যাচের শুরুটা ছিল প্রাণবন্ত। তৃতীয় মিনিটেই স্বাগতিক লাইপজিগ ভেবেছিল তারা বুঝি অগ্রগামিতা পেয়ে গেছে। জাল কাঁপিয়েছিলেন স্ট্রাইকার বেনজামিন সেসকো। কিন্তু ভার রিভিউর পর বাতিল হয়ে গেছে সেটি।

অপর ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটি শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে। তাতে কেভিন ডি ব্রুইনার শটে গোলও পায় ১০ মিনিটে। জ্যাক গ্রিয়েলিশের ইনজুরির আগ পর্যন্ত সিটি চাপ তৈরি করেই খেলতে থাকে। ইনজুরির এই ঘটনায় কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয় পেপ গার্দিওলার দল। তখন জেরেমি ডকুকে নামান সিটি কোচ। তার পরেও ৩৪ মিনিটে সমতা ফিরিয়ে তাদের স্তব্ধ করে দিতে পেরেছিল স্বাগতিক কোপেনহেগেন। ১ ফেব্রুয়ারি ক্লাবটিতে যোগ দিয়ে অভিষেকেই গোল করেছেন ম্যাগনাস ম্যাটসন।

৪৫ মিনিটে অবশ্য সিটি ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে নেয়। গোল করেন বের্নার্ডো সিলভা। তার পর রক্ষণ জমাট করে খেলতে থাকে কোপেনহেগেন। শেষ দিকে যোগ হওয়া সময়ে সেই রক্ষণ ভেঙে স্কোর ৩-১ করেন ফিল ফোডেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here