টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই পেতে তথ্যের অপব্যবহার করছে ভারত: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

0
78

বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শাড়ির ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেতে ভারত তাদের আবেদনে অসত্য তথ্য উপস্থাপন ও তথ্যের অপব্যবহার করেছে বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। অন্যদিকে ‘বেঙ্গল মসলিন’-এর জিআই পণ্যের আবেদনের প্রেক্ষিতে জার্নাল প্রকাশ করেছে ভারত। এ বিষয়ে দ্রুততার সঙ্গে বাংলাদেশকে আপত্তি জানাতে হবে বলে জানান দেবপ্রিয়।

শনিবার ‘টাঙ্গাইল শাড়িকে পশ্চিমবঙ্গের ভৌগোলিক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি: প্রক্রিয়া, পরিস্থিতি ও বাংলাদেশের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশের মসলিনের সঙ্গে ভারতের বেঙ্গল মসলিনের পার্থক্য কোথায়? তাই দ্রুততার সঙ্গে বাংলাদেশের আপত্তি জানানো উচিৎ বলে মনে করেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, বাংলাদেশ উচ্চতর মধ্যম আয়ের দেশে পদার্পণ করতে যাচ্ছে। সেজন্য মেধা সম্পদের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। টাঙ্গাইলের মতো বিষয়গুলোর সুরাহা করতে হবে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়ে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় আলোচনার সময় শেষ হয়ে গেছে। এখন আমাদের ভারতের আদালতে আইনি লড়াই চালাতে হবে। এছাড়া মসলিন ভারতের জিআই পণ্য হিসেবে এখনও নিবন্ধিত হয়নি। এ নিয়েও আপত্তি জানাতে হবে।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ৫০ হাজার শাড়ি প্রতি সপ্তাহে ভারতে যাচ্ছে। তারা যদি আমাদের শাড়ি তৈরি করে তবে আমাদের ঐতিহ্যগত সুনাম নষ্টের পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতিও হচ্ছে। কেননা আমাদের কাপড়, আমাদের তাঁতি, আমাদের মিল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভারতের আবেদনে বলা হয়, হিন্দুরা ভারতে চলে যাবার সাথে সাথে টাঙ্গাইল শাড়িও নিয়ে যায়।

আসলে তা সত্য নয়। প্রচুর মুসলমান তাঁতি টাঙ্গাইলে রয়েছে যারা শাড়ির কাজ করে। এতে তথ্যের অপব্যবহার ও অসত্য তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here