মিয়ানমারের গুলি এসে পড়লো এপারে। এতে অল্পের জন্যে রক্ষা পেল বাড়ির মানুষ। শনিবার ভোরে টেকনাফের হোয়াইক্যং মাঝের পাড়া সীমান্তের মসজিদের পাশের হাজী আবছার ও মৃত আবুল মনজুরের বাড়ি, সড়কের পাশে মুদির দোকান ও ধলুমিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘট। এসময় ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে সীমান্তবাসী।
মিয়ানমারের রাখাইনে অভ্যন্তরে গত কয়েকদিন ধরে সেদেশের বিদ্রোহী আরকান আর্মি ও সেনাদের সাথে তুমুল লড়াই চলছে। শনিবার মিয়ানমারের কুমির খালী সীমান্ত ফাঁড়িতে ভোর থেকে গোলাগুলি চলছে। মর্টার শেল ও গুলিতে প্রকম্পিত হচ্ছে এপারও। ওপারের লড়াইয়ের গুলি, মর্টারশেল এসে পড়ছে বাংলাদেশ সীমান্তেও। এতে হতাহতের ঘটনাও ঘটছে। থেমে থেমে চলমান এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন ও উৎকন্ঠায় রয়েছে সীমান্তবাসী। আজ শনিবারও ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে শুরু হয় গোলাগুলি।
প্রায় ঘন্টা দেড়েক চলে। এ সয়ম ফজর নামাজ শেষে কোরআন তেলওয়াত করছিল হোয়াইক্যং মাজের পাড়ার হাজী মোহাম্মদ আবছার। হঠাৎ করেই পর পর দুটি গুলি এসে পড়ে হাজী আবছারের ঘরে। এতে অল্পের জন্যে রক্ষা পায় হাজী আবছার।
এছাড়াও হোয়াইক্যং উত্তর পাড়া হোছন আলীর মুদির দোকান ও সড়কের পাশে ধলুমিয়ার বাড়িতে গুলি পড়ে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সিরাজুল মোস্তফা লালু বলেন, আমরা সীমান্তের কাছে বসবাস করি। সব সময় ভয়ের মধ্যেই থাকতে হচ্ছে। গোলাগুলির শব্দ ও ভয়ে এলাকার মানুষ সীমান্তের কাছে কাজ করতে যেতে পারছেন না। ভোর থেকে হোয়াইক্যং পয়েন্টের মিয়ানমারের ওপারে শুরু হয় প্রচন্ড গোলাগুলি।
বিজিবি হোয়াইক্যং বিওপির কোম্পানি কমান্ডার আবু জানান, গোলাগুলির শব্দ ও কয়েকটি বুলেট এপারে এসেছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।