মিয়ানমার সীমান্তে ঝুঁকিতে থাকা লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ জেলা প্রশাসকের

0
87

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্ট জুড়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে অব্যাহত গোলাবারুদ বর্ষণে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে ঝুঁকিতে থাকা লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। মঙ্গলবার বিকালে ঘুমধুম-তুমব্রু পরিদর্শন শেষে এ নির্দেশ দেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন। ইতিমধ্যে প্রশাসন বিরূপ পরিস্থিতিতে অতি ঝুঁকিতে থাকা সীমান্তের অর্ধ-সহস্রাধিক পরিবারকে সরিয়ে নিতে প্রাথমিক ভাবে নির্দেশনা দেন স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের। মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা গণমাধ্যমের কাছে নিশ্চিত করে  বলেন, ‘সীমান্ত এলাকায় ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিবেচনায় রেখেছি। এ নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিজিবি ও পুলিশসহ সীমান্ত সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় জরুরিভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, সীমান্তের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজনকে সরিয়ে নিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে আশ্রয় দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। এ চলমান পরিস্থিতিতে গত সোমবার সীমান্তের ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু, কোনারপাড়া, উত্তর পাড়া ও বাইশফাঁড়িসহ বিভিন্ন  সীমান্তে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। যা এখন ছড়িয়ে পড়েছে পুরো নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মিয়ানমার সীমান্ত জুড়ে। প্রায় প্রতিদিনই দিনে ও রাতে থেমে থেমে গোলাবর্ষণ, মাঝেমধ্যে হেলিকপ্টার ও ফাইটিং জেট বিমান থেকে ছোড়া হচ্ছে গোলা। মঙ্গলবার সকাল ৬টার পর থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আবারো গোলাগুলি শুরু হয়।

সকাল ৯টার সময় ঘুমধুমে এক মুক্তিযোদ্ধার বসতভিটায় মিয়ানমার থেকে  ছোড়া মর্টারশেল এসে পড়ে। এতে কোনো হতাহত হয়নি। এতে আতঙ্কিত সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here