নীরবে ঢাকা ঘুরে গেলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল

0
44

অনেকটা নীরবেই ঢাকা ঘুরে গেলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। সঙ্গে তাঁর ৩ সহকর্মী। তারাও ভারতের নিরাপত্তা সুরক্ষায় উচ্চমধ্যম সারির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ)’র নেতৃত্বাধীন টিমের ঢাকায় আগমন এবং প্রস্থানের বিষয়টি সন্ধ্যায় সেগুনবাগিচার তরফে অনানুষ্ঠানিকভাবে মানবজমিনকে নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ বিষয়ে ঢাকা কিংবা নয়াদিল্লি কোনো পক্ষই আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেনি।এদিকে ঢাকার প্রতিষ্ঠিত ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ সফরটি নিয়ে কয়েক লাইনের একটি রিপোর্ট করেছে। সেই রিপোর্টে বলা হয়, একটি বিশেষ সামরিক ফ্লাইটে তারা বাংলাদেশে সংক্ষিপ্ত সফর করে গেছেন। শনিবার (বাংলাদেশ সময়) বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে ভারতের বিশেষ ফ্লাইটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অতরণ করে, যার নাম্বার ছিলো আইএফসি-০০৬৪ (IFC0064)। সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে তাদের ইমিগ্রেশন শেষ হয়। রোববার এনএসএকে বহনকারী ফিরতি ফ্লাইটটি ঢাকা ছেড়ে যায়।

ওদিকে রাতে ভারতের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্টে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার নীবরে ঢাকা সফরের অন্যতম কারণ হিসেবে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে দেশটির সীমান্তরক্ষীদের পালিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতে আশ্রয় নেয়ার প্রেক্ষিতে সৃষ্ট নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয়টি ফোকাস করা হয়েছে। ইয়েশি সেলির তৈরি করা রিপোর্টেও ঢাকায় কার কার সঙ্গে অজিত দোভাল এবং তাঁর সফরসঙ্গী ভারতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়েছে তা খোলাসা করা হয়নি।

তাতে শুধু এটা অনুমান করা হয়েছে যে, এনএসএ’র আকস্মিক সফরের নেপথ্যে যে মুখ্য কারণগুলো থাকতে পারে তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ তথা প্রধান কারণ হতে পারে মিয়ানমার জান্তার অনুগত সৈন্যদের ক্রমাগত পরাজয়বরণ এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সৈন্যের ভারত ও বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি। আরাকান আর্মি এবং জান্তা বিরোধীদের প্রতিরোধের মুখে টিকতে না পেরে গত নভেম্বর থেকে ৭০০ আধা সামরিক বর্মী সীমান্ত পুলিশ ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। আর বাংলাদেশে এই দু’চার দিনে আশ্রয় নিয়েছে শতাধিক। এ সংখ্যা দিনে বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সূত্রের বরাতে রিপোর্টে প্রকাশ, সশস্ত্র তবে পরাজিত ওই সৈন্যদের সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশে আশ্রয়গ্রহণ উভয় দেশের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মিয়ানমারের অনেক ফ্রন্টে জান্তাবাহিনী হেরে যাচ্ছে।  ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও হুমকি বোধ করছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here