শেখ হাসিনাকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের পাঠানো চিঠি নিয়ে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আমেরিকাসহ পশ্চিমা বিশ্ব বাংলাদেশের অবৈধ, ডামি নির্বাচনকে বৈধতা দেয়নি। আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট কয়েকদিন আগেও ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে যে জালিয়াতি হয়েছে সেটা স্পষ্টভাবে বলেছে। গণতন্ত্রের প্রশ্নে তারা কোনো ছাড় দিয়েছে বলে আমার জানা নেই।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী আরো বলেন, বহু কর্তৃত্ববাদী দেশের সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের সম্পর্ক রয়েছে। একটি রাষ্ট্রের সঙ্গে আরেকটি রাষ্ট্রের যে সম্পর্ক থাকে, অর্থনীতি, বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক থাকে। দেশের জনগণ তো স্বাধীনতাকে জিম্মি করে নাই। তারা দেশের জনগণের সঙ্গে কাজ করার কথা বলেছে।
বাংলাদেশের ও মিয়ারমান সীমান্তে গোলাগুলি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণে বাংলাদেশের সীমান্ত অরক্ষিত।
রিজভী বলেন, গণতন্ত্রকামী জনগণের পেছনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি বিশেষ অংশকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। একদিকে হামলা মামলা নির্যাতন নিপীড়ন চালিয়ে, গুম খুন অপহরণ করে ভিন্ন দল ও মতের মানুষকে দমিয়ে রাখার অপচেষ্টা ইত্যাদির মাধ্যমে জনগণের সম্মুখে ঝোলানো হয়েছে মৃত্যুর খাঁড়া। অপরদিকে শেখ হাসিনার বিনাভোটের সরকারের প্রতি সমর্থন আদায়ের জন্য বাংলাদেশ নিয়ে ভাগ—বাটোয়ারার হাট বসেছে। দেশ এবং জনগণের স্বার্থের প্রতি তোয়াক্কা না করে বহিঃর্বিশ্বের যাকে যা দিয়ে খুশি রাখা যায় শেখ হাসিনা তাই করছেন, তাই দিচ্ছেন। শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকার এখন একদলীয় কতৃর্ত্ববাদী দেশের কাছ থেকেও গণতন্ত্রের সার্টিফিকেট নিচ্ছে। অবৈধ ক্ষমতার প্রতি শেখ হাসিনার লালসার কারণে গণতন্ত্রের পায়ে বেড়ি, মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে এখন নির্বাক মৌনতায় পরিণত করার প্রচেষ্টায় মানুষের মনে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে। জনগণের প্রতি সরকারের চোখ রাঙানির বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিস্পর্ধী উচ্চারণকে থামানো যাবে না। বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত চলমান আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, অধ্যাপক ডা. আবদুল কুদ্দুস, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, তারিকুল আলম তেনজিং, শাহ নেছারুল হক, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের অধ্যাপক ইমতিয়াজ বকুল প্রমুখ।