জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপার) সহসভাপতি ও ১২-দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা রাশেদ প্রধান বলেছেন, ভারতীয় পণ্য সীমান্তে অগণিত বাংলাদেশীদের লাশ ও শহিদ ফেলানীর রক্তে রঞ্জিত। তাই বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য বয়কট করা এখন জাতীয় কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘ভারতীয় পণ্য বয়কট ও দিল্লির আগ্রাসনের বিরুদ্ধে’ জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপা আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
রাশেদ প্রধান বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে লাশ আর শোষণনীতি ছাড়া কিছুই পায়নি। দেশবাসী জানতে চায়— গোলামি চুক্তির নামে ফারাক্কা বাঁধ ও তিস্তার পানির ন্যায্যহিস্যা কোথায় গেল? তাই দেশবাসী মনে করে বাংলাদেশের জন্য ভারতীয় পররাষ্ট্রনীতি একটি বৈষম্য ও শোষণনীতির বহিঃপ্রকাশ।
তিনি বলেন, শুধু তাই নয়! বাংলাদেশের প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে দুর্বল করার জন্য ভারতীয় ‘র’ ১/১১-এর নগ্ন পরিকল্পনায় শেখ হাসিনাকে গদিতে বসিয়েছে। তার পর বাংলাদেশে পিলখানার দরবার হলকে টার্গেট বানিয়ে ৫৬ সেনা অফিসারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তাই বাংলার মজলুম মানুষ ‘প্রতিবাদ হিসেবে’ ভারতীয় পণ্য বয়কট ও দিল্লির আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
রাশেদ প্রধান আফসোস করে বলেন, সম্প্রতি দেশে একটি ভুয়া নির্বাচন হলো! ভারতীয় কৃতদাস সরকারকে ক্ষমতায় বসানো হয়েছে। কে ভোট দিল, কারা শপথ নিল? কে সরকার? কারাইবা ভোটার? এখন দেশে জনগণের দায়িত্ব কার? দেশে সরকার আছে, তাদের দায়িত্ব নেই! দৃশ্যত দেশের মানুষ এখন যুদ্ধে নয়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মরতে বসেছে। মানুষের পকেটে টাকা নেই, পেটে ভাত নেই— এমন পরিস্থিতি দেশের মানুষ ’৭১-এর যুদ্ধেও দেখেনি।
যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলুর পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামিক ঐক্য জোটের ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন, জাগপার প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টের যুগ্ম মহাসচিব মো. শরিফুল ইসলাম, জাগপা ঢাকা মহানগরের সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম হাসু, যুব জাগপার সহসভাপতি মাহিদুর রহমান বাবলা, জাতীয় ছাত্রসমাজের সভাপতি কাজী ফয়েজ আহমেদ, ছাত্র জমিয়তের সভাপতি, মো. নিজামুদ্দিন আদনান, জাগপা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র সরকার প্রমুখ।