বিএনপির গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে ঘিরে রাজধানীর দুটি থানায় করা চার মামলায় দলটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের জামিন আবেদন গ্রহণ করে আইনানুযায়ী তা নিষ্পত্তি করতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে (সিএমএম) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মোয়াজ্জেম হোসেনের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন।
রাজধানীর রমনা ও পল্টন মডেল থানায় করা পৃথক চারটি মামলায় মোয়াজ্জেম হোসেনের করা জামিন আবেদন গ্রহণ করে তা নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে ২৫ জানুয়ারি রিট করেন তিনি। মামলাগুলো ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে বিচারাধীন বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীর আইনজীবী।
আজ আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সগীর হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ।
রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় ৩১ অক্টোবর শাহজাহানপুরের একটি বাসা থেকে মোয়াজ্জেম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এই মামলায় গত ১ নভেম্বর মোয়াজ্জেম হোসেনকে আদালতে হাজির করে ডিবি ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ৬ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তাঁকে হাজির করা হয়। তাঁকে কারাগারে আটক রাখার জন্য আদালতে ডিবি আবেদন করে। অন্যদিকে মোয়াজ্জেম হোসেনের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তাঁর আইনজীবীরা। শুনানি নিয়ে সেদিন আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তিনি এখন কারাগারে।
মোয়াজ্জেম হোসেনের আইনজীবী সগীর হোসেন বলেন, পল্টন থানার এক মামলায় ১ নভেম্বর তাঁর মক্কেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আরও চারটি মামলা আছে, যার মধ্যে দুটি রমনা থানার ও দুটি পল্টন থানার। এই চার মামলায় তাঁর নাম থাকলেও তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। এসব মামলায় তাঁর জামিন আবেদন করা হয়, যা ২১ জানুয়ারি নিম্ন আদালত জমা নিলেও সেগুলো নিষ্পত্তি করেননি। এ অবস্থায় চারটি মামলায় মোয়াজ্জেম হোসেনের জামিন আবেদন গ্রহণ করে আইন অনুসারে নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়। হাইকোর্ট চার মামলায় মোয়াজ্জেম হোসেনের জামিন আবেদন গ্রহণ করে আইন অনুসারে ১৫ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করতে সিএমএম আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন।