কারাগারে থাকা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের সাথে পৈশাচিক আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদ আয়োজিত ‘বাংলাদেশ কোন পথে ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ অভিযোগ করেন তিনি।
নুরুল হক নুর বলেন, দেশে আইন-আদালত, বিচার ব্যবস্থা বলে কিছু নেই। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আমাদের এক ভাই যাকে জেলে ‘১০ ফিট বাই ১০ ফিট’ রুমে রেখেছে। তাকে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। আদালতে এসে এ বিষয়টি বলার সময় পুলিশ তার মুখ চেপে ধরেছে, কথা বলতে দেয়নি। আজকে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা যারা জেলে রয়েছেন প্রত্যেকের সঙ্গে পৈশাচিক ব্যবহার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আন্দোলনে যে সমস্ত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন কিংবা জেলখানায় রয়েছেন, তাদের চিকিৎসা বা আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য দলের পক্ষ থেকে একটা সেল গঠন করা প্রয়োজন। এতে করে তারা উপকৃত হবেন। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে দেশে এখন নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে বলেও অভিযোগ করেন নুর।
সরকার সংকটের মধ্য দিয়ে চলছে উল্লেখ করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন তারা আবার আওয়ামী লীগে ফিরে যেতে চান। পরিস্থিতি ৭ জানুয়ারির আগে যা ছিল এখন সে রকমই আছে। বরং সরকারের জন্য পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে, আমাদের জন্য ভালো হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। ডলার নেই, আমদানি করা যাচ্ছে না। এমনকি খাদ্যপণ্যও আমদানি করা যাচ্ছে না। নতুন বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, সাত দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট বন্ধ করে দেবেন। কৈ পেরেছেন? সিন্ডিকেট ভেঙেছে? বরং জিনিসপত্রের দাম আরও বেড়েছে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, জনগণ রাস্তায় নামলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশ ছেড়ে পালাবে। সরকারকে বলব- সময় আছে, এখনই ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খোকন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, কাদের গনি চৌধুরী, কৃষক দলের সাবেক নেতা শাহজাহান মিয়া সম্রাট, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।