জনগণের ওপর দ্রব্যমূল্যের লাল ঘোড়া দাবড়ানো হচ্ছে : ১২ দলীয় জোট

0
20

১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, ৭ জানুয়ারি জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট বর্জন করেছে। সে কারণে এখন জনগণের ওপর দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির নামে লাল ঘোড়া দাবড়ানো হচ্ছে। অবৈধভাবে ক্ষমতাসীন হয়ে এই সরকার বাংলার মানুষকে ভাতে ও লাঠিতে মারার ষড়যন্ত্র করছে। তাই অবিলম্বে আন্দোলনে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে শেখ হাসিনার পদত্যাগ, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বাতিল, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে কালো পতাকা বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য এসব কথা বলেন তারা। মিছিলটি বিজয়নগর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, শেখ হাসিনা সরকার এখন দেশের জন্য বিষফোড়ায় পরিণত হয়েছে। দলীয় সরকারের অধীনে সাজানো ‘ডামি’ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশে ভয়াবহ হাহাকার চলছে। জনগণ এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। ১২ দলীয় জোট এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, এই সরকার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির নামে দেশের জনগণকে পেটে ও আঘাতে মারতে চায়। ঘরে ঘরে ক্ষুধার আর্তনাদ বাতাসে ভেসে আসছে। দেশ ও দেশের জনগণকে বাঁচাতে শেখ হাসিনা সরকারের পতন এখন অনিবার্য।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম বলেন, এই প্রহসনের নির্বাচনে দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বের কাছে নষ্ট হয়েছে। আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের রাজনীতিকে অন্ধকারে নিক্ষেপ করেছে।

বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান বলেন, জনগণ ৭ জানুয়ারির নির্বাচনী তামাশা প্রত্যাখ্যান করেছে। গণতান্ত্রিক বিশ্বের কাছেও এই একতরফা নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। সুতরাং এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। অবিলম্বে তাদের পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা উচিত।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) ভাইস চেয়ারম্যান হান্নান আহমেদ বাবলু, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল করিম।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এলডিপির তমিজউদদীন টিটু, ফরিদ উদ্দিন, জমিয়তে ইলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মুফতি মাওলানা জাকির হোসেন, মাওলানা আতাউর রহমান, মাওলানা এম এ কাশেম ইসলামাবাদী, বাংলাদেশ জাতীয় দলের বেলায়েত হোসেন শামীম, জাগপার আনোয়ার হোসেন, মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির মো. শরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মুহাম্মদ আবু হানিফ, এড. জাকির হোসেন, ইসলামী ঐক্যজোটের শওকত আমিন, মোহাম্মদ ইলিয়াস রেজা প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here