বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও নির্বাচন বিষয়ে পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। মস্কো দাবি করেছে, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বাংলাদেশে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ সংঘটিত করার পরিকল্পনায় জড়িত ছিলেন। তবে রাশিয়ার এসব মন্তব্যকে অপব্যাখ্যা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে ওয়াশিংটন।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও নির্বাচন এখন বৈশ্বিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংসহ গোলটেবিল বৈঠক বা সংসদে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও মানবাধিকার নিয়ে চর্চা হচ্ছে। সম্প্রতি বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া এসব ঘটনা নিয়ে আবারও বিবাদে জড়াল বিশ্বের ক্ষমতাধর দুই পরাশক্তি।
ঋণের টাকায় পরিশোধ হচ্ছে সরকারি ঋণ? – বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হচ্ছে ব্যয় বাড়লেও রাজস্ব আহরণ বাড়ছে না। ঘাটতি পূরণে দেশি-বিদেশি উৎসগুলো থেকে প্রতিনিয়ত ঋণ নিতে হচ্ছে সরকারকে। ফলে ঋণের পরিমাণও বেড়ে যাচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয় এক অর্থবছরে সরকারের ঋণের স্থিতি বেড়েছে ২ লাখ ৭৩ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা।
রাজস্ব ও ঋণের এ অসামঞ্জস্যতায় চাপ বাড়ছে সরকারের কোষাগারে। বাড়ছে ঋণের সুদ বাবদ পরিশোধিত অর্থের পরিমাণও।
বাড়তি এ ঋণের মধ্যে বিদেশী ঋণের অবদানই সবচেয়ে বেশি। বিদেশী ঋণে নির্ভরতা বাড়ায় শঙ্কিত হয়ে উঠছেন অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা।
টাকার অবমূল্যায়ন ও ডলারের সংকটজনিত কারণে এ ঝুঁকি আরো প্রকট হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজস্ব আয় বাড়াতে না পারলে দেশি-বিদেশি উৎস থেকে নেয়া ঋণ এক সময় বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের বিপদের কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে।
নির্বাচন নিয়ে কূটনীতিকদের ব্রিফ করলেন পররাষ্ট্রসচিব-নয়া দিগন্তের খবর। এতে বলা হয় বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রস্তুতি সম্পর্কে দিল্লিতে নিযুক্ত ও বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রায় ৯০টি দেশের মিশন প্রধানদের ব্রিফ করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেছেন, অন্য অনেক দেশের মতোই নির্বাচন বাংলাদেশে একটি উৎসব। বাংলাদেশের জনগণ এই উৎসবের জন্য এবং ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
দিল্লিতে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের বঙ্গবন্ধু হলে এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। এর আগে তিনি হায়দরাবাদ হাউজে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়েত্রার সাথে বৈঠক করেন।
‘অনির্দিষ্টকালের’ ছুটিতে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত-মানবজমিনের খবর। বলা হয় অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে গেছেন ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। গত ২২শে নভেম্বর থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে অবস্থান করছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা ও ওয়াশিংটনের একাধিক কূটনৈতিক সূত্র বাংলাদেশ দূতের ছুটিতে থাকার বিষয়টি মানবজমিনকে নিশ্চিত করেছে। জানিয়েছে, যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা এবং সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষেই রাষ্ট্রদূত ছুটিতে রয়েছেন। কিন্তু তার বর্তমান অবস্থান কোথায়? সে বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি।
সোর্স – বিবিসি বাংলা