ভারতীয় হানাদার বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) সদস্যের লাশ গ্রহণকালে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন বাহিনীটির সদস্য সহকর্মীরা। বিএসএফ গুলি করে হত্যার পর সহকর্মীর জন্য কান্নাই হচ্ছে এখন বিজিবি’র সম্বল।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় বিজিবি সদস্যের লাশ হস্তান্তর করে বিএসএফ। যশোরের শার্শার শিকারপুর সীমান্ত দিয়ে লাশ বিজিবির কাছে পৌঁছে দেয় ভারতীয় বাহিনী। এর আগে সোমবার ভোরে বিএসএফ গুলি চালিয়ে বিজিবি সদস্যকে হত্যার পর লাশ নিয়ে গিয়েছিল।
বিজিবির শিকারপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার মেইন পিলার ২৮ এস-এর কাছে ৪৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল জামিল ও বিজিবির সহকারী পরিচালক মাসুদ রানা আনুষ্ঠানিকভাবে নিহত সদস্য রইস উদ্দিনের লাশ গ্রহণ করেন।
গুলি চালিয়ে রইস উদ্দিনকে হত্যার প্রতিবাদে বিজিবি গতকাল মঙ্গলবার বিএসএফকে প্রতিবাদ পত্র পাঠায়। বিজিবি মোহাম্মদ রইস উদ্দিনের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছে জানিয়েছে বিজিবি কর্তৃপক্ষ।
লে. কর্নেল জামিল জানান, নিহতের প্রথম জানাজা যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নে অনুষ্ঠিত হয়। পরে সেখান থেকে হেলিকপ্টার যোগে লাশ তার গ্রামের বাড়ি চাপাই নবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। যশোর লাশ গ্রহণকালে বিজিবির অন্যান্য সদস্যরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়।
উল্লেখ্য, গত সোমবার ভোরে বিএসএফ সদস্যরা বেনাপোলের ধান্যখোলা সীমান্তে ঢুকে সিপাহী রইস উদ্দিনকে গুলি করে হত্যা করে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ধান্যখোলা সীমান্ত এলাকা দিয়ে সোমবার ভোরে একদল বিএসএফ ভারতীয় বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে পড়ে। বাংলাদেশে ঢুকে পড়া বিএসএফ সদস্যদের দেখে এ সময় বিজিবি সদস্য সিপাহী রইস উদ্দিন সামনে এগিয়ে যান।
রইস উদ্দিন বিএসএসফ সদস্যদের কাছে নিজেকে বিজিবি সদস্য পরিচয় দেন এবং ঘটনার ব্যাপারে জানতে চান। পরিচয় পাওয়ার পরও বিএসএফ সদস্যরা তাকে গুলি করে আহত করে। পরে বিএসএফ রইস উদ্দিনকে নিয়ে বনগাঁও হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বিকেলে রইস উদ্দিনের মৃত্যু হয় বলে জানায় বিজিবি।