রাজধানীর রমনা ও পল্টন মডেল থানার পৃথক চার মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত আমীর খসরুর জামিনের আদেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘পৃথক দুই থানায় আট মামলার মধ্যে চারটিতে জামিন পেয়েছেন আমীর খসরু। তবে অন্য চার মামলায় নথি না থাকায় শুনানি হয়নি। আশা করি, সংশ্লিষ্ট আদালতে মামলার নথি এলে জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।’
আজ দুপুর দেড়টার দিকে আসামিকে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করেন কারা কর্তৃপক্ষ। এরপর তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রে (সিএমএম) আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। মেখান থেকে তাকে আদালতের এজলাসে ওঠানো হয় বেলা ২টার দিকে।
এর আগে, আমীর খসরুর পক্ষের আইনজীবী মহসিন মিয়া, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধীতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রমনা থানার দুই ও পল্টন থানার দুই মামলায় জামিনের আদেশ দেন।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) আমীর খসরুর উপস্থিতিতে তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ জামিন শুনানি করতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট (পিডব্লিউ) ইস্যুর আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে আসামির প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করেন এবং তার উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার জামিন শুনানির তারিখ ধার্য করেন। ওই দিন পল্টন থানার দুই মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার সিএমএম আদালত।
জানা গেছে, গত ২ নভেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে আমীর খসরুকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ৩ নভেম্বর তার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ৯ নভেম্বর রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।