আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল-সমাবেশ করায় তার ব্যাখ্যা দিতে আপিল বিভাগে হাজির হয়েছেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলীসহ বিএনপির সাত শীর্ষ আইনজীবী নেতা। সোমবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের আপিল বেঞ্চ আদালত অবমাননা মামলার শুনানি পিছিয়ে ২৯ জানুয়ারি ধার্য করেন।
শুনানি পিছিয়ে দেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে প্রধান বিচারপতি বলেন, যেহেতু এটির আদেশ দিয়েছিলেন ৫ বিচারপতির বেঞ্চ, কিন্তু আজ উপস্থিত আছেন ৪ জন। সে কারণে শুনানি পিছিয়ে দেয়া হলো।
উল্লেখ্য, ১৫ আগস্টের শোক দিবসের আলোচনা সভায় ‘বিচারপতিরা শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ উল্লেখ করে বক্তব্য দেয়ায় আপিল বিভাগের দুইজন বিচারপতির বিরুদ্ধে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল-সমাবেশ করে আসছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। এছাড়া ওই দু’জন বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখতে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
গত ২৯ আগস্ট আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল-সমাবেশ করায় বিএনপির এই সাত আইনজীবী নেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়। আইনজীবী নাজমুল হুদার পক্ষে অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি এ আবেদন করেন।
বিএনপির সাত আইনজীবী নেতা হলেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল।