দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন বিকেল চারটায় ভোট শেষ হওয়ার ঘণ্টা দেড়েক পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল শুরুতে বলেন, ভোট পড়েছে ২৮ শতাংশ। পরে তাকে পাশ থেকে একজন সংশোধন করে বলেন, সংখ্যাটি ৪০ শতাংশ হবে। সিইসি তখন ভোটের হার ৪০ শতাংশ হতে পারে বলে জানান। বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন সিইসি নিজেই।
নির্বাচনের পরদিন (০৮ জানুয়ারি) ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের প্রধান খালেদ মুহিউদ্দীনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেন।
খালেদ মুহিউদ্দীনের প্রশ্নটি ছিলঃ নির্বাচনে ভোট প্রদানের হার নিয়ে একটি প্রশ্ন দেখা যাচ্ছে। আমরাও যখন গতকাল বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরছিলাম, তখন কিন্তু দেখছিলাম বিশেষ করে ঢাকার কেন্দ্রগুলোতে…আমরা যে কয়টা কেন্দ্রে গিয়েছিলাম- বনানী, মোহাম্মদপুর, শাহীনবাগ বা উত্তরার কিছু কেন্দ্রে খুব কম ভোট পড়েছিল ২-৩% এর মতো দুপুর ১২ টা, ২টা পর্যন্ত। সেটি যে ৪০% এ আসলো বা ৪০% এর কিছু বেশি আসলো, এটি কি আপনার কাছে একটু বেশি মনে হয়? কম মনে হয়?
এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেনঃ ঢাকার ১০টি, ২০টি বা ৫০টি সেন্টার ঘুরে আপনি সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারবেন না। আরবান এলাকাতে এবং রুরাল এলাকাতে ভোটের চিত্রটা ভিন্ন। আর, এই বিষয়টি নিয়ে আমার মনে হয় বিতর্কের তেমন অবকাশ নাই। এখনও যদি কেউ মনে করেন যে ভোটের হার আসলে অনেক কম… আমাদের ভোটের হার সবশেষে হয়েছে ৪১.৮%। আমি যখন ফোরটি পার্সেন্ট বলেছিলাম…প্রথম বলে ফেলেছিলাম ২৮%, তার আগে, আমি যখন ঘুমিয়েছিলাম।
পরে যখন সাড়ে চারটার দিকে ইন্টারভিউ হয়, আমাকে সংশোধন করে দিলো, না এখন পর্যন্ত ড্যাশবোর্ডে তথ্যগুলো পুরোটা আসেনি। আংশিক যেটা এসেছে ওখান থেকে মনে হচ্ছে ৪০%। চূড়ান্ত পার্সেন্টেজটা শুধু তখনই নিরুপণ করা সম্ভব যখন সকল আসনের ফলাফল ঘোষিত হয় এবং সকল প্রার্থীর ভোটগুলো যোগ করা হয়। ৩০০ ইন্টু সেভেন হতে পারে। ৩০০ গুণন ৫ হতে পারে। সেটা কিন্তু মোটেই কঠিন কোনো বিষয় নয়। কারণ সেটি হচ্ছে: এক্সেলে যদি ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ফলটা, টোটালটা বেরিয়ে আসে। আবার বিভাজক দিয়ে ভাগ করা হলে সঙ্গে সঙ্গে পার্সেন্টেজটা বেরিয়ে আসে। এখন ২৯৮ টি নির্বাচনের যে ফলাফল সেটার কিন্তু পূর্ণাঙ্গ চিত্র এখন আছে। কারো যদি মনে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকে, সেটা এখনও পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে৷ এটা কি আসলে ৪১.৮%? না বেশি না কম? এটা নিয়ে আমার মনে হয়…কোনো ইস্যু এটা নয়।