দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনপরবর্তী করণীয় নির্ধারণে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের মতামত নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। এর অংশ হিসেবে ১২ দলীয় জোটের সাথে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠক করেছে দলটি।
মঙ্গলবার (০৯ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে শরিকদের মতামত নেওয়ার কার্যক্রম শুরু করল বিএনপি।
বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে শুরু হয়ে ঘণ্টাব্যাপী চলা বৈঠকে বিএনপির পক্ষে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান এবং স্কাইপিতে সালাউদ্দিন আহমেদ যুক্ত ছিলেন। এ ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও বৈঠকে স্কাইপিতে সংযুক্ত ছিলেন।
অন্যদিকে ১২ দলীয় জোটের পক্ষে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান ও জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব ও জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপার সহসভাপতি ও জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির একাংশের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী খান আব্বাস, বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটু, জমিয়তের সহকারী মহাসচিব মাওলানা মুফতি রশিদ বিন ওয়াক্কাস, জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে মোস্তফা জামাল হায়দার, শাহাদাত হোসেন সেলিম, রাশেদ প্রধান ও গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম বক্তব্য রাখেন।
বৈঠকে বিএনপির হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে সরকারবিরোধী আন্দোলন সফলভাবে পালন করে যাওয়ায় ১২ দলীয় জোট এবং দেশবাসীকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে বলা হয়, বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলোর ভোট বর্জনের আন্দোলন সফল হয়েছে। তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনে দেশের ৯৭ ভাগ মানুষ ভোট দিতে যায়নি। আপনারা (১২ দল) এই সরকারের নানামুখী চাপ ও লোভ-লালসায় জোট ও আন্দোলন থেকে সরে যাননি, আপনাদের ধন্যবাদ। আপনারা গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও জনগণের বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।