ক্ষমতা আঁকড়ে ধরতে এবং অবৈধ ক্ষমতার উপর দখল বজায় রাখতে সরকার শাসনামল ২৭০০ টিরও বেশি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এ সময়ে ৭০০টিরও বেশি জোরপূর্বক গুম এবং ৫০ লক্ষের বেশি গণতন্ত্রপন্থী মানুষের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটি সুস্পষ্ট রেকর্ডসহ অগ্নিসংযোগের ঘটনার অবতারনা করছে। সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ট্রেনে নাশকতা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ।
রোববার (৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কারণে আরও অনেক হত্যা যুক্ত হতে পারে তাদের পূর্বের হাজার হাজার প্রাণনাশের ঘটনার সাথে। এদিকে বিএনপি প্রতিনিধিত্ব করে গণতন্ত্রকামী মানুষদের প্রতিদিনের আত্মোৎসর্গের বিয়োগান্তক পর্বের। যেহেতু তাদের বিকাশমান জীবন, স্বাধীনতা ও অধিকার সমর্পণ করার জন্য নিষ্ঠুর চাপ প্রয়োগ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক দল এবং বাংলাদেশের জনগণ কর্তৃক দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করা এ নির্বাচন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন উপদলের মধ্যে নজিরবিহীন সহিংসতা। গতকালের মাত্র দুটি উদাহরণই নির্বাচনপূর্ব আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ সহিংসতার চিত্র তুলে ধরে।
রিজভী বলেন, বিরোধীদের বিরুদ্ধে তীব্র মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে অগ্নিসংযোগের হামলার সুস্পষ্ট সুবিধাভোগী হিসেবে আ.লীগ আবারো আবির্ভূত হয়েছে বলে জোরালো প্রমাণ রয়েছে। এ দলের সহিংস রাজনীতির ইতিহাস এবং নির্বাচন-পূর্ব সহিংসতার কথা বিবেচনা করে, আমাদের বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে যে এটি জনজীবনের মূল্যে ফ্যাসিবাদকে সংহত করার জন্য শাসনের সর্বশেষ প্রচেষ্টা।