ডামি নির্বাচনে ডামি ভোটারের উপস্থিতি দেখানো হবে : রাশেদ খান

0
80

গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেছেন, ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনে ডামি ভোটার উপস্থিতি দেখানো হবে। আগামীকাল রোববার কেউ ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। সকলে ঘরে অবস্থান করুন। নিজ নিজ জায়গা থেকে গণকারফিউ পালন করুন।

শনিবার (০৬ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বিজয়নগর পানির টাঙ্কির মোড়ে মিছিল-পরবর্তী এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি এ আহ্বান জানান। ভোট বর্জনের আহ্বান এবং একদফা দাবিতে বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলোর চলমান হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করে দলটি।

মো. রাশেদ খান বলেন, ডামি নির্বাচনে ডামি ভোটার উপস্থিতি দেখানো হবে। আগামীকাল কেউ ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। সকলে ঘরে অবস্থান করুন। নিজ নিজ জায়গা থেকে গণকারফিউ পালন করুন। এ সরকার আপনাদের ভাত ও ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে নিউজ হচ্ছে, দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার নাই, আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃত্ববাদী হয়ে উঠেছে। সংবিধান থেকে ২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে গিয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের জনগণকে বলব- রাজপথে নামুন, প্রতিবাদ করুন। আর কত চুপ করে সহ্য করবেন? আমরা গণঅধিকার পরিষদের নেতারা আপনাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছি। আপনাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে গণঅভ্যুত্থান রচিত হলে এ সরকার ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হবে।

রাশেদ খান আরও বলেন, ২০১৪ ও ’১৮ সালে কোনো নির্বাচন হয়নি। ভোটকেন্দ্রে কুকুর-বিড়াল ঘোরাঘুরি করেছে। আগামীকাল রোববার অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে কৃত্রিম লাইন সৃষ্টি করা হবে, ৫০-৬০% ভোটার উপস্থিতি দেখানো হবে। ডামি নির্বাচনে ডামি ভোটার থাকবে। বিদেশিদের দেখানো হবে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে। কিন্তু জনগণ এ নির্বাচন বর্জন ঘোষণা করেছে। জাতিসংঘ ও আমেরিকার সংলাপ-সমঝোতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে সরকার দেশকে নিষেধাজ্ঞার দিকে নিয়ে গিয়েছে।

তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচন কমিশন ও যেসব সরকারি কর্মকর্তা এ একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করছে- এটি বন্ধ না করলে নির্বাচনের পরে তাদের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। নতুন সরকারের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। তাই দেশ ও জাতির প্রতি ভালোবাসা থাকলে আজকেই পদত্যাগ করে সংসদ বিলুপ্ত করে সংবিধানের ১২৩ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দিন।

দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে তার ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার জন্য নিজেদের লোক দিয়ে পরিকল্পিতভাবে ট্রেনে এবং বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছে। আমরা ২০১৪ সালেও বাসে-ট্রেনে আগুনের ঘটনা দেখেছি।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ইতোমধ্যে এ সরকারের একতরফা নির্বাচনের খবর প্রচার হচ্ছে। ৭ জানুয়ারির এ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ এক গভীর সংকটে পড়তে যাচ্ছে। তাই দেশের মানুষের প্রতি আহ্বান জানাই, ডামি নির্বাচনকে বর্জন করে ভোটকেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

গণঅধিকার পরিষদের এ অংশের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসানের সঞ্চালনায় সমাবেশ ও মিছিলে উপস্থিত ছিলেন-দলের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, অ্যাডভোকেট সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, জসিম উদ্দিন আকাশ, ক্রীড়া সম্পাদক ইলিয়াস মিয়া, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসানসহ নেতাকর্মীরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here