এই নির্বাচনে বাংলাদেশের কোন জনগণ ভোট দিতে যাবে না, এটাই তাদের সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে একতরফা ভোট বর্জনের আহ্বানে মিছিলপূর্ব সমাবেশে এ মন্তব্য করেন নেতারা। সমাবেশের পরে একটি মিছিল বের গণতন্ত্র মঞ্চ। তাদের মিছিলটি তোপখানা রোড থেকে জিপিও হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
নেতারা বলেন, বিরোধী দলকে দমনে পুলিশকে দলীয় বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করে এই সরকার ক্ষমতায় আছে। এক মুহূর্তও দমন-পীড়নের যন্ত্রকে কাজে না লাগিয়ে আর টিকতে পারছে না। কারণ সরকারের পায়ের তলায় কোন মাটি নেই। কোন জনসমর্থনও নেই। এই অবস্থায় এরা এই ডামি নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে জাতীয় পার্টি থেকে শুরু করে আরো কিছু ভাগিয়ে আনা দলকে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বানিয়ে পাতানো ও একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করছে। বাংলাদেশের কোন জনগণ এই নির্বাচনে ভোট দিতে যাবে না, এটাই জনগণের সিদ্ধান্ত।
তারা বলেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম লিখেছে- আগামী ৭ই জানুয়ারি নির্বাচন নির্বাচন খেলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে বাস্তবে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি একদলীয় শাসন পাকাপোক্ত হতে যাচ্ছে। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে সরকার ৭ তারিখের পর বিরোধী দলকে আরো বেশি দমন করে, তাদের উপর আরো নিপীড়ন চালানোর জন্যই পরিকল্পিতভাবে নিজেদের এজেন্ট দিয়ে ভোটকেন্দ্র জ্বালিয়ে নাশকতা তৈরি করছে। এই পরিকল্পিত নাশকতা ইতোমধ্যে মানুষ ধরে ফেলেছে এবং সরকারের সকল অপতৎপরতা জবাব হিসেবেই ৭ তারিখে কোনো দেশপ্রেমিক জনগণ ভোট দিতে যাবে না।
সমাবেশে সকল ভয়-ভীতি, দমন-পীড়ন মোকাবেলা করে জনগণকে ঐক্য বজায় রাখা এবং ৭ তারিখ ভোট বর্জনের মাধ্যমে নতুন গণপ্রতিরোধের সূচনা করার জন্য জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান নেতারা।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমম্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রব মান্নান প্রমুখ।