‘একতরফা প্রহসনের’ নির্বাচন বন্ধ, সংসদ ভেঙে দেয়া এবং বিতর্কিত শিক্ষা কারিকুলাম বাতিলের দাবিতে প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিনের বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এরআগে দলটির উদ্যোগে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল প্রেসিডেন্টের বাসভবন অভিমুখে রওনা হয়ে দৈনিক বাংলা পৌঁছলে পুলিশ বাধা দেন। এসময় নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে নেতারা পরিস্থিতি শান্ত করেন। সেখান থেকে ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রেসিডেন্টের বাসভবনে গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলটির মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সহকারী মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান এবং প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম।
রোববার সকালে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে প্রেসিডেন্ট বরাবর স্মারকলিপি প্রদানপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেন, সরকার দীর্ঘ ১৫ বছরে নির্বাচনী ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাসহ সকল সাংবিধানিক ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেশকে ভয়াবহ সঙ্কটে ঠেলে দিয়েছে। বিরোধী দলগুলোর দাবিকে পাস কাটিয়ে একতরফা নির্বাচনের নামে দেশকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গেছে। রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে প্রেসিডেন্টকে নির্বাচন বন্ধ করে দিয়ে অবৈধ সংসদকে ভেঙ্গে দিতে হবে। শিক্ষাকারিকুলাম বাতিল করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচাতে হবে।
ইউনুছ আহমাদ বলেন, সরকার বিগত নির্বাচনগুলোতে ভোটকেন্দ্রে না যেতে ভোটারদের হুমকি-ধামকি দিয়েছে। আর নির্বাচনের নামে নাটক মঞ্চস্থ করছে। বিরোধী দলবিহীন নির্বাচন দিয়ে জনগণকে কাছে টানতে পারছে না। জনগণ সরকার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। সরকার আঁচ করতে পারছে যে, তাদের সঙ্গে দেশের জনগণের কোন সম্পর্ক নেই। এভাবে নির্বাচনের নামে তামাশার কোন মানে হয় না।
সমাবেশে অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হানিফ মিয়া, ডা. শহিদুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, মাওলানা কেএম শরীয়াতুল্লাহ, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, মুফতী হাফিজুল ইসলাম ফাইয়াজ, আল আমিন সোহাগ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।