এবি পার্টির সর্বদলীয় সভায় বক্তারাঃ ‘ডামি নির্বাচন’ বিরোধীদল নিশ্চিহ্ন করার প্রক্রিয়া

0
99

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘ডামি’ আখ্যা দিয়ে তা বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন দলের নেতারা। একইসঙ্গে এই নির্বাচনকে বিরোধী দল নিশ্চিহ্ন করার একটি প্রক্রিয়া বলে মন্তব্য করেন তারা।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি আয়োজিত এক সভায় তারা এই মন্তব্য করেন।

‘দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন বর্জন, অংশগ্রহণ ও ডামি ভোটাভুটি’ শীর্ষক এই সর্বদলীয় সভার আয়োজন করা হয়।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী।

দলের সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু’র সঞ্চালনায় সভায় ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আ ক ম ওয়ারেসুল করিম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, গণফোরাম সেক্রেটারি সুব্রত চৌধুরী, আলোকচিত্রী ড. শহীদুল আলম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ড. রেজা কিবরিয়া, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ূম, এনডিএম’র চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালাল উদ্দিন, এবি পার্টির ডা. আব্দুল ওহাব মিনার, তাজুল ইসলাম ও বিএম নাজমুল হক, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার, ইসলামি আন্দোলনের আশরাফ আলী আকন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের দিদারুল ভূঁইয়া, এনডিএম’র নুরুজ্জামান হীরা, এবি পার্টির আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ও যোবায়ের আহমদ ভূঁইয়া।

বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা আগে দেখেছি চুরি বা জালিয়াতি হয় গোপনে। কিন্তু ২০১৮ সালে যা হয়েছে তা নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন আর আওয়ামী লীগ মিলে জনসমক্ষে ভোট ডাকাতি করে নিয়ে গেছে। যে প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন চলছে তা হাস্যকর। সিন্ডিকেট করে বাজার লুট, ব্যাংক লুট, শেয়ারবাজার লুটের যে মহোৎসব আওয়ামী লীগ চালিয়েছে সেই লোভেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। জনগণের উপর গত ১৫ বছর যে সীমাহীন নির্যাতন চালিয়েছে সরকার তাতে ক্ষমতায় না থাকলে কি পরিণতি হবে সেই ভয়ও তাদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের ভয় আর লোভ থেকে যে নির্বাচনী প্রহসনের আয়োজন তাতে জনগণের কোনো অংশগ্রহণ নাই। এই ভোটে জনগণ অংশ নিবে না ইনশাআল্লাহ।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপিরা যে হলফ নামা দিয়েছে তা আগে দেখলে মানুষ আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো পার্টি করতো না। এইভাবে মানুষ টাকার মালিক হতে পারে তা কল্পনাও করা যায় না। একজনেরই তিনশো ফ্ল্যাট, যার সবই নাকি ইউরোপ-আমেরিকায়। এখন একটাই উপায়, সরকারকে সকল সহোযোগিতা বন্ধ করতে হবে। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চালাতে হবে।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here