সরকারের নির্দেশেই গুম ও খুন হচ্ছে: রিজভী

0
101

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে সরকার ও তার সংস্থার লোকেরা পরিকল্পিতভাবে নাশকতা করেছে এখনও তেমনই করা হচ্ছে। আজকে সব ধরনের গুম ও খুনের সঙ্গে সরকারের লোকজন জড়িত। সবই হচ্ছে সরকারের নির্দেশে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, এখন পর্যন্ত যত নাশকতাকারী হাতে নাতে ধরা হয়েছে তার সবই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের লোকজন। বগুড়ায় দুজন নেতাকে ইতিমধ্যে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছেই আছে। কিন্তু তাদের কোনো সন্ধান দিচ্ছে না।

নির্বাচন ইস্যুতে কোনো বিশৃঙ্খলা সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে- গোয়েন্দা প্রধানের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, আমরাও কিন্তু সংবিধান পড়েছি। ওটাতে হিব্রু ভাষায় লেখা নেই। সুতরাং আপনারা নিজেরাও সংবিধান ভালোভাবে পড়ুন। দেশের ইতিহাস জানুন।

এতোই যদি সংবিধান প্রীতি আপনার বা আপনার সরকারের থাকতো তাহলে ফখরুদ্দিন-মঈন উদ্দিনের অধীনে নির্বাচন কেনো করলেন? সেখানে তো সংসদ ভেঙে তিনমাসের মধ্যে নির্বাচন করার কথা বলা ছিলো। কিন্তু তারা কেনো দুই বছর ক্ষমতায় থাকলো? আপনারা তাদের অধীনেই মাস্টারপ্ল্যানের নির্বাচন করে ক্ষমতায় এসেছেন। যা পরে সরকারের নিকটজনরাই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
রিজভী বলেন, সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা যেন মাস্তানের মতো কথা বলছেন। বিশেষ করে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান যে ভাষায় কথা বলেন, তা সম্পূর্ণ ছাত্রলীগের নেতাদের মতো। তিনি রাতের আঁধারে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল, কৃষকদল নেতা মেহেদী হাসান পলাশ তাদেরকে ধরে জোর করে মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় করেছেন। সবকিছুই মনিটরিং করছে সরকার। আর বাস্তবায়ন করছে তার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারমধ্যে বিএনপির নেতাকর্মীরা কিভাবে নাশকতা করে? আসলে বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখন পুলিশের নজরদারির মধ্যে বন্দি।

তিনি আরো বলেন, আজকে দেশের জনগণ বহু কষ্টে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের সুফল ভোগ করতে পারছে না। মাঝে মধ্যে এমন শাসক ক্ষমতায় আসেন তারা জনগণের কাঁধে চেপে বসেন। এখন আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অবলীলায় মিথ্যা কথা বলছেন। তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এসব করছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, মামলা, আসামি ও আহতদের তালিকা তুলে ধরেন রিজভী। তিনি জানান, এসময়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১২০ জন নেতাকর্মী, আহত হয়েছে ১৫ জন এবং মামলা দায়ের করা হয়েছে ৪টি। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ৩৩৭ জন নেতাকর্মীকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here