২০১২ সাল থেকে নিখোঁজ সিলেটের মানুষের প্রিয় নেতা এম ইলিয়াস আলী। কোথায় আছেন, কেমন আছেন; কেউ জানে না। এখনো পরিবারসহ নেতাকর্মীরা তার জন্য পথ চেয়ে আছেন। সিলেট-২ আসনের বিশ্বনাথে বাড়ি এম ইলিয়াস আলীর। ছিলেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক। গুম হওয়ার পর থেকে ভোট এলেই ইলিয়াস আলীর নাম উঠে আসে আলোচনায়। এবারের নির্বাচনেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ভোটের মাঠে থাকা প্রার্থীরা নিজেদের পক্ষে ভোট টানতে ইলিয়াস আলীর নাম জপছেন। এ নিয়ে বিরক্ত, ক্ষুব্ধ তার স্ত্রী বিএনপি চেয়ারপাাসনের উপদেষ্টা বেগম তাহসিনা রুশদীর লুনা। ভোটের মাঠে ইলিয়াস আলীর নাম ব্যবহার করে ফায়দা নিয়ে তিনি কড়া সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি এসটিএম ফখর উদ্দিনের মতে- ওসমানীনগর ও বিশ্বনাথে শুধু বিএনপি নয়, সাধারণ ভোটাররাও এখনো মনেপ্রাণে ভালোবাসেন ইলিয়াস আলীকে। এখনো তার অপেক্ষায় আমরা। তবে এটা সত্য তার নাম ব্যবহার করে অতীতে অনেকেই এমপিসহ জনপ্রতিনিধি হয়েছেন। এবার আর সেটি হবে না। যেহেতু বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি; এ কারণে আসনের দুটি উপজেলার বিএনপিসহ ইলিয়াস প্রেমি মানুষ ভোটে অংশ নেবে না। এবার ইলিয়াস আলীর নাম ব্যবহার করে কেউ যাতে নির্বাচনী বৈতরনী পার না হতে পারে সেদিকে আমাদের নজরদারি থাকবে বলে জানান তিনি। আসনের ভোটাররা জানিয়েছেন, এবারের নির্বাচনে ইলিয়াস আলীর নাম ব্যবহার করছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও সাবেক এমপি ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া। ইতিমধ্যে তিনি একাধিক নির্বাচনী সভায় ইলিয়াস আলীর নাম ব্যবহার করে ভোট টানার চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানও কৌশলে বিএনপি অংশের ভোট টানার চেষ্টা করছেন।