৭ই জানুয়ারির ভোট জনগণ রুখে দেবে: সাকি

0
86

আগামী ৭ই জানুয়ারির ভোট জনগণ রুখে দেবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। সমাবেশের পর গণতন্ত্র মঞ্চ তোপখানা সড়কে মিছিল করে।

জোনায়েদ সাকি বলেন, আপনার-আমার টাকা ব্যাংকে থাকে, দেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি- তারাই বলছে যে, ৯২ হাজার কোটি টাকা স্রেফ লুটপাট করে ফেলা হয়েছে। এটা কিন্তু খেলাপি ঋণ নয়, খেলাপি ঋণ অন্তুতপক্ষে ৩ থেকে ৪ লক্ষ কোটি টাকা। আর এই ৯২ হাজার কোটি টাকা তো আসার সম্ভাবনা নাই। স্রেফ লুট হয়ে গেছে। এই লুটপাটতন্ত্র টিকিয়ে রাখার জন্য তারা (সরকার) এভাবে ক্ষমতা রাখতে চায়। এই লুটপাটতন্ত্রের কারণে দেশের অর্থনীতি সংকটে, জিনিসপত্রে দাম বাড়ে, আমার-আপনার পেটে লাঠি পড়ে, প্রতিদিন টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এবং সেই টাকা পাচার হচ্ছে।

তিনি বলেন, এভাবে চলতে দেবেন? যদি না দেন তাহলে এই যে ভোট ডাকাত-তামাশা সেটাকে রুখে দিতে হবে। ওই নির্বাচন কেন্দ্রে যেতে পারবেন না। আপনার যদি দেশের প্রতি দায় থাকে, জনগণের প্রতি দায় থাকে তাহলে আপনি যেতে পারেন না।

৭ তারিখে কেউ ভোট দিতে যাবেন না। এই আজব তামাশা জনগণ প্রত্যাখানের মধ্য দিয়ে রুখে দেবে। 

সাকি বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলছি, এই যে সংকট এর সমাধানের সময় এখনো আছে। এদেশের সংকট সমাধানের এমনকি তাদের ভাষায় সংবিধানের অধীনেও এমনই পরিষ্কার ব্যবস্থা আছে। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ ভালো করে পড়লে দেখবেন পার্লামেন্ট ভেঙে দিলে এমনিতেই তারা জনগণের ভোটের ওপর দাঁড়িয়ে নেই, পার্লামেন্ট ভেঙে দেন, রাজনৈতিক সংকট সমাধানে আলোচনায় বসেন এবং তিন মাসের মধ্যে একটা অংশগ্রহণমূলক সত্যিকারের নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন, ৭০ ভাগ মানুষ ভোট দেয়ার জন্য নাকি রেডি। তাহলে মানুষের ওপর ভরসা করে আসেন একটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন মোকাবিলা করেন। আপনাদের যদি জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচন করে আমরা সালাম দিয়ে আপনাদের সরকার মেনে নেবো। কিন্তু আপনাদের সেই সাহস নাই জনগণকে উনারা ভয় পান। কারণ জনগণ ব্যালটে সিল দেয়ার ক্ষমতা পেলে আওয়ামী লীগের এই সরকার ভেসে যাবে।

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সারা দেশে তারা সহিংসতা ছড়িয়ে দিয়েছে। নৌকা মার্কার সঙ্গে ডামি প্রার্থীর সহিংসতা, স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে নৌকা প্রার্থীর সহিংসতা। গত কয়েকদিনে দুইজন মারা গেছে। প্রতিদিন অসংখ্য সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। অথচ দায়ী করা হচ্ছে বিরোধী দলকে। আজকে এই সরকার বিরোধী দলকে জব্দ করার জন্য তাদেরকে সন্ত্রাসে নাম দেয়ার জন্য দেশব্যাপী পরিকল্পিত সন্ত্রাস তারা ছড়িয়ে দিয়েছে। বিরোধী দলের হাজার নেতাকর্মী জেলখানায় আর তাদের বিরুদ্ধে ফরমায়েশি সাজা দিচ্ছে। নিজেদের মধ্যে মারামারি-খুনাখুনি করে তারা দেশব্যাপী ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এসব করে কোনো লাভ হবে না। জনগণ তাদের ফন্দি বুঝে গেছে।

জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারির সঞ্চালনায় সমাবেশে ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, হাবিবুর রহমান রিজু, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের ইমরান ইমন ও বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আকবর খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণফোরাম-পিপলস পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তোপখানা রোড ও বিজয়নগর সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here