১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক নির্বাচন হতে চলেছে। নির্বাচনের এই তামাশার আসরে জনগণ ভোট দিতে যাবে না এবং দেশের বড়-ছোট প্রায় ৬৪টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। তাই জনগণ মনে করে, আগামী ৭ জানুয়ারি সারা দেশের ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটার নয়, ২০১৪ সালের মতো কুকুর, বিড়াল থাকবে।
‘একতরফা’ নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে জনমত সৃষ্টিতে শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় রাজধানীর ফকিরাপুল মোড়, নয়াপল্টন, কাকরাইল এলাকায় ১২ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে তারা এসব কথা বলেন।
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের আন্দোলনের মুখে হারিয়ে যাবে। জনগণের আন্দোলন এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। যেকোনো সময় সরকার পদত্যাগে বাধ্য হবে। তিনি দেশবাসীকে ৭ জানুয়ারি ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান জানান।
১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, এই সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ভয়ংকর খেলা শুরু করেছে। জনগণের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে খুব দ্রুত এই সরকারের পতন ঘটানো হবে। আওয়ামী লীগ আগুন নিয়ে যখন খেলতে চায়, তখন জনগণ ভোট বর্জনের মাধ্যমে তার কঠিন জবাব দেবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের নিয়ে ‘ঘোড়া ও ব্যাঙ’ ইঙ্গিতে যে মন্তব্য করেছেন তার নিন্দা জানান রাশেদ প্রধান।
গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ শেষে আরও বক্তব্য রাখেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. ইব্রাহিম রওনক, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আবদুল করিম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির যুগ্ম মহাসচিব শরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ প্রমুখ।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) হান্নান আহমেদ বাবলু, বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এম এ বাসার, অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটু, যুগ্ম মহাসচিব মো. ফরিদ উদ্দিন, বাংলাদেশ এলডিপি যুবদলের আহ্বায়ক মহম্মদ ফয়সাল, সদস্য সচিব মিজানুর রহমান পিন্টু, বাংলাদেশ এলডিপি ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক ফরিদ আমিন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের আতাউর রহমান খান, এম এ কাশেম ইসলামাবাদী, মাওলানা খায়রুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের বেলায়েত হোসেন শামীম, ইসলামি ঐক্যজোটের ইলিয়াস রেজা, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির আবু ইউসুফ, ওমর রাজি, শফিকুল ইসলাম, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু, মনোয়ার হোসেন, জনি নন্দী, এলডিপি যুবদলের ফয়সাল আহমেদ, মিজানুর রহমান পিন্টু, ছাত্র সমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মেহেদী হাসান, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান…..