আগুন দিয়ে মানুষ হত্যার রাজনৈতিক ফায়দা কীঃ আক্রান্ত হওয়ার আগেই আক্রমণ করে নিজকে রক্ষা- এটা সরকারের একটা হীন কৌশল ।।
সারাদেশে সরকার বিরোধী আন্দোলন গত কয়েক বছরে বিপুল গণভিত্তি অর্জন করে এক দফার আন্দোলনে রুপ নিয়েছে। গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির ২১ হাজার ৮৩৫ নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ৫ মাসে ১ হাজার ৪০ মামলায় বিএনপির ৯৩ হাজার ২৪৩ জনকে আসামী করা হয়েছে। স্মরণকালের বৃহৎ জনসমাবেশে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাদের যৌথ হামলার সফল মঞ্চায়নের পর থেকে বিএনপির নেতাদের উপর চলছে চরম ক্র্যাকডাউন। সব নির্যাতন উপেক্ষা করে বিএনপি ও বিরোধী দলগুলোর ইস্পাত কঠিন ঐক্য ও সঠিক নেতৃত্বে আন্দোলন যখন দিন দিন শক্ত অবস্থানের দিকে যাচ্ছে তখন অতর্কিত ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যার ঘটনা ঘটানো হলো। মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকের এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তিনটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে চারজন দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে মিডিয়াতে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
বিএনপির পক্ষ থেকে এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবী করা হয়েছে। এই ঘটনার পিছনে প্রকৃতই কারা আছেন তাদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনতে দাবী জানানো হয়েছে। কিন্তু কারা জড়িত আছেন তদন্ত করে তা বের করার চেয়ে বরাবরের মতোই এই ঘটনাতেও বিএনপিকে ফাঁসানোর জন্য পুলিশ আগাম ঘোষণা দিয়ে দিয়েছে। লক্ষণীয় হলো রাজনৈতিক নেতাদের চেয়ে দ্রুত বেগে পুলিশ আইন, তদন্ত কোন কিছুর তোয়াক্কা না করেই এই ঘোষণা দিয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান, মঙ্গলবার দুপুরে ট্রেনে নাশকতায় আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, “আমি মনে করি যারা অবরোধ-হরতাল দিচ্ছে তারাই এই নাশকতার সঙ্গে জড়িত। এর আগেও তারা এভাবে ট্রেনে নাশকতা করেছে“। অথচ নিজেরা করে দায়ভার বিরোধীদের উপর চাপানো হচ্ছে, এটাই সবাই বিশ্বাস করে। মনে হয় তথাকথিত নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর আগে সরকারী দলের লাশের দরকার ছিল। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নিরপরাধ ৪ জনের দগ্ধ লাশ পেল অপরাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে।
জনগন এইসব সংবাদের নিচে স্বপ্রনোদিত যে কমেন্ট করছেন, তাতে কম বেশি এই বক্তব্যই উঠে আসছে যে, জনগন মনে করছেন-
বিএনপির আরো কিছু নেতা হয়ত ধরার বাকি আছে, তাদেরকে ধরার জন্য আওয়ামী লীগের এটা নয়া ফাঁদ। প্রথম আলোর সংবাদের প্রেক্ষিতে কমেন্ট বক্সে একটি মন্তব্য খুবই প্রাসঙ্গিক মনে হলঃ “Who has done it. Seems to be a very organized and planned arson. Who has that capability except some agencies”.
আগুনের খবর পেয়ে চালক ট্রেনটি থামালে হয়তো প্রাণহানির এ ঘটনা এড়ানো যেত বলে অনেকে মনে করছেন। চালক কেন ট্রেনটি থামালেন না, সেটি এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। আগুন লাগা অবস্থায় ১২ কিলোমিটার ট্রেনটি দ্রুতবেগে ছুটে চলাতে মানুষ নামতে পারে নাই। যাত্রীরা বলছেন প্রতিটি বগিতে দায়িত্বে থাকা তত্বাবধায়কের দেখা মিলেনি। অথচ কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটলে মুঠোফোনে চালকে জানানোর নিয়ম রয়েছে। একজন সুপারভাইজার বলেছেন তাদের কাছে নাকি চালকের নাম্বার ছিল না। তাই জানাতে পারে নাই। ফলে ট্রেন পরিচালনায় যে অব্যবস্থাপনা ছিল তা পরিষ্কার।
কোনো কোনো অনলাইন খবরে জানাচ্ছে, এক ভুক্তভোগী বলছেন, রেলের পোশাক পরা দুজনকে দেখা গেছে আগুন লাগার আগে। তারা ফায়ার এক্সটিংগুইশার হাতে হাঁটাচলা করছিলেন। আগুন লাগার আগেই ফায়ার এক্সটিংগুইশার হাতে এরা কারা? আহত যাত্রী নূরুল হক মিডিয়াকে বলেন তার সন্দেহ এরাই বগিতে আগুন লাগিয়ে পাশের বগিদিয়ে পার হয়ে পালিয়ে গিয়েছে।
গত ২০১৪ বিনাভোটের নির্বাচনের পরে বিএনপির আন্দোলন দমন করার জন্য সরকারী দল তাদের সন্ত্রাসী ও বিভিন্ন সরকারি এজেন্সি মিলে শুধু আগুন দিয়ে মানুষই হত্যা করে নাই সেটার সফল প্রচার করে বিএনপিকে দমনের হাতিয়ার বানাতে সক্ষম হয়েছিল তারা। আগুন সন্ত্রাসের সফল প্রপাগান্ডায় তারা রাতের ভোটের নির্বাচন পর্যন্ত করে ফেলেতে পেরেছিল। আগুন দিয়ে মানুষ মারা ও সেটার সফল প্রচার ও তার উপর ভিত্তি করে বিএনপিকে দমনের মিশনে না নামলে আওয়ামী লীগের পক্ষে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকাই সম্ভব হতো না বলে মনে করেন অনেক রাজনৈতিক গবেষক। এবং পরে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিভিন্ন বক্তব্যে আগুন দিয়ে তাদের নিজেদের সম্পদের ক্ষতি করে আওয়ামী দলকে ক্ষমতায় রাখার কৃতিত্ব দাবি করতেও দেখা গেছে। অথচ আগুন সন্ত্রাসের তকমা লাগানোর চেষ্টা হয়েছে বিএনপির ঘাড়ে- এটাই লীগের রাজনীতি। এভাবে আওয়ামী লীগ প্রচুর `False Flag Operation` চালিয়েছে বিএনপির বিরুদ্ধে।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি অনলাইন পত্রিকায় লিখেছে, “বিভিন্ন ঘটনায় যেসব প্রমাণ পাওয়া যায়, তাতে দেখা যায় সরকারি দলের লোকরা আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত। সরকারি দলের এমপি ছিলেন পঙ্কজ নাথ। তার বিরুদ্ধে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার প্রকাশ্য অভিযোগ তোলে তারই দলের নেতা। এসব অভিযোগ জনসম্মুখে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ এবার তাকে মনোনয়ন দেয়নি। তিনি স্বতন্ত্র থেকে দাঁড়িয়েছেন। যদিও আওয়ামী লীগ যাকে মনোনয়ন দিয়েছেন তার দ্বৈত নাগরিকত্ব আছে। আওয়ামী লীগের মতো একটি দল, যারা বিরোধীদের কোণঠাসা করে দীর্ঘ ১৫ বছর দেশ চালাচ্ছে, তারা কেন জানতে পারল না যে, তাদের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য দ্বৈত নাগরিক? যার কারণে নির্বাচন কমিশন তার মনোনয়ন বাতিল করেছে। দ্বৈত নাগরিক এমপি হতে পারেন না, এও নিশ্চয় দলটির অজানা নয়। এসব জেনেও শাম্মী আহমেদকে মনোনয়ন দিয়েছে কেন, যার কারণে তিনি নির্বাচনই করতে পারবেন না? ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে পঙ্কজ নাথকে নির্বাচিত করার জন্য“?
বিএনপি চায় জন সমর্থন বৃদ্ধি করতে। জনগনকে সাথে নিয়ে গণতান্ত্রিক প্রতিরোধের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে। কোন মানুষই দলটিকে রেডিক্যাল সংগঠন বলে মনে করে না। বরং আন্দোলন এতো গান্ধিবাদি ধারায় কেন করে বিএনপি, তা নিয়ে প্রচুর রসিকতা করেন লীগের লোকজন। আন্দোলনের `মুরদ` নাই বিএনপি`র বিরুদ্ধে এমন মন্তব্যও করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক। আগুন দিয়ে বাস পোড়ানো বা চলন্ত ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যার মতো কাজ জনসম্পৃক্ততা বাড়াবে না- এটা সবাই বুঝেন। বরং নষ্ট করবে। ফলে এটা সরাসরি আন্দোলনের ক্ষতি করবে। কাজেই অতি বিপ্লবী কেউ চাইলেও বিএনপির এই ধরণের সহিংস কাজ করার সুযোগ নাই। এটা আন্দোলনকে যারা নৎসাত করতে চায়, জনগনকে প্রচন্ড ভাবে ভয় পায়িয়ে দিয়ে দমিয়ে রাখতে চায় শুধু তাদের জন্যই ফায়দা রয়েছে এই জঘন্য কর্মকান্ডে। কে না বোঝে ক্ষমতাশীনদের প্রত্যক্ষ মদদ ছাড়া এ ঘৃণ্য কাজ কখনও সম্ভব নয়।
আগুন দিয়ে মানুষ হত্যার রাজনীতি লীগের পুরানা ঐতিহ্য। অন্যদিকে, বিএনপি যদি আগুন দিয়ে মানুষ হত্যার রাজনীতি করে তাহলে এ ঘটনার বেনিফিশিয়ারী কে ? যদি তা খেয়াল করি তাহলে বুঝতে পারবো কারা এই ঘটনার সাথে জড়িত। দেখা যায় এবার বাসে আগুন দেয়া হলেও মানুষের গায়ে আগুন কম লেগেছে। এর কারণ হিসেবে আল-জাজিরার অনুসন্ধানী টিমের একজন সাংবাদিক একটি তথ্য দিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, একটি সরকারী গোয়েন্দা সংস্থা ১২০ টি পুরনো পরিত্যক্ত বাস কিনে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে দাঁড় করিয়ে রেখেছে। সেই গাড়িগুলোতেই ঘুরে ফিরে আগুন দেয়ার ফলে এবার প্রাণহানির ঘটনা কম হয়েছে। কি আশ্চর্য মিল, এবার সরকারি যে হিসাব দেয়া হয়েছে তাতেও ১২০ টি গাড়ি পোড়ানো হয়েছে বলে মন্তব্য করা হয়েছে।
কিন্তু এখন নির্বাচনের আগে আগে বিরোধী আন্দোলন তীব্র হওয়ার পূর্বেই নতুন কায়দায় চলন্ত ট্রেনে আগুন দিয়ে জনমনে ভয় তৈরি, নিজে জনরোষে পতিত হওয়ার আগেই ভায়োলেন্স শুরু করে দেয়া এবং বিরোধীদলকে দমনের সুযোগ তৈরি করার জন্য আবারও নিরীহ, সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে খেলা শুরু করেছে এই ফ্যাসিস্ট শাসকগোষ্ঠি। বাসে আগুন দিয়ে ফায়দা হাসিল হচ্ছিল না তাই আগুন মানুষের গায়েই দিতে হলো! অবশ্য পুরাতন শেরাটনের সামনে যাত্রীবাহী চলন্ত বাসে গান-পাউডার মেরে আওয়ামী সন্ত্রাসী কর্তৃক মানুষ হত্যার কথা ১/১১ এর সময় সিনিয়র আওয়ামী নেতার স্বীকৃত বক্তব্য তো সবাই অবগত আছেন।
সরকার বুঝতে পারছে, জনগণের আন্দোলন কোন ভাবেই দমন করা যাবে না। কাজেই পাবলিক ইট হাতে নিলেই পুলিশ গুলি করে, বিরোধী দল হরতাল ডাকলে, পিকেটিং -এর ডাক দিলেই সরকারের লোক আগুন দিয়ে বাস পুড়ায়, মানুষ হত্যা করে- এই যে এডভান্স এ্যাকশন এটা সন্ত্রাসবাদি শক্তির খুব পুরানা কৌশল। আক্রান্ত হওয়ার আগেই আক্রমণ করা- এটা বিরোধী দল ও মতের মানুষকে হঠাৎ করে ঘাবড়ে দেয়ার কৌশল। জনগণের মনযোগ আন্দোলন থেকে সরিয়ে ভায়োলেন্সের দিকে নিয়ে যাওয়া। অথবা তাদেরই করা ভায়োলেন্সের শিকার দগ্ধ মানুষগুলোর প্রতি সহানুভূতি সৃষ্টি করে আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা। মানুষ যেমন শোকে বিহ্বল হয়ে এখন আর বিচারও চায় না। এই কৌশল সরকার অনেক দিন থেকেই প্রয়োগ করে আসছে।
কাজেই কারা এই ঘটনার সাথে জড়িত, তাদের বের করে বিচার করতে হবে- এমন সুশীল দাবী জানিয়ে মিডিয়া গরম করে কাজের কাজ কিছুই হয়নি এতোদিন। বরং মুখস্তভাবে বিএনপি নেতাদের পাকড়াও করা ছাড়া এসব সুশীল দাবীর আর কোন ভূমিকা দেখা যায় নাই। কিন্তু এইসব ঘটনার বেনিফসিয়ারি কারা সেটা চিন্তা করলে আমরা সহজে বুঝতে পারবো কারা এটা ঘটাচ্ছে। তবে আশার কথা হলো- জনগণ এখন বুঝতে পারেন কারা এগুলোর সাথে জড়িত। এবং কেন আওয়ামী লীগ এ সহিংসতা ঘটাতে থাকে। আক্রান্ত হওয়ার আগেই আক্রমণ করে নিজেকে রক্ষার এই আওয়ামী হীন কৌশল এখন উদাম হয়ে গেছে।
যখন সরকার চরম কোনঠাসা অবস্থায় থাকে তখন সাধারণ মানুষকে লাশে পরিণত করে, জনগণকে নির্বাক করে দিয়ে আরও শক্তভাবে দমনের দম সঞ্চারের জন্য – গত ১৫ বছর ধরে নিয়মিত বিরতি দিয়ে সরকার এই ঘটনাগুলো ঘটিয়ে যাচ্ছে।
যারা মানুষের জীবনকে লাশের মিছিলে পরিণত করে হলেও অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে দ্বিধা করে না, সেই দানবের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক সংগ্রাম সত্যিই খুব কঠিন। কিন্তু এই কঠিন অবস্থাকে মেনে নিয়েই জনগণকে আন্দোলন জোরদার করতে হবে। যত দ্রুত এদের পতন হবে ততই দ্রুত জান ও জীবন এবং দেশ ধ্বংস হওয়ার হাত থেকে রেহাই পাবে। না হলে মানুষের লাশকেই ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাকে দিন দিন আরও দানবীয় রুপে ব্যবহার করতে থাকবে।
সরকারী প্রোপাগান্ডাকে ডিসমিস করে দিয়ে দ্রুত জনগণের ঐক্য আরও মজবুত করতে হবে। শিশু সন্তানকে বুকে জড়িয়ে মা ও সন্তাসসহ পুড়ে অঙ্গার হলেন। এই আগুন ক্ষমতার লোভের আগুন। এই দৃশ্য মেনে নেয়া যায় না। লাশের উপর ভর করে ক্ষমতায় থাকার এই নিঠুর চালাকি আর চলবে না। সমাজের বিবেকবান মানুষের দাবি তুলতে হবে- এই ভাবে আগুন দিয়ে হত্যার দায় সরকারের। এই দায় তারা কোন ভাবেই এড়াতে পারবে না। তাদের কাছ থেকে আমরা আর সুবিচারও আশা করি না। তাদের পদত্যাগ করতে হবে। এই হত্যার দায় তাদের। তাদের আর কোন অপরাধ আমরা মেনে নিবো না। এখনই পদত্যাগের দাবিতে নাগরিক সমাজকে সোচ্চার হতে হবে। তাদের অপরাজনীতি ও কৌশলের বলি হতে চাই না আমরা। আমরা এই ঘটার জন্য তাদের পদত্যাগ দাবি করি।
ভাটাধিকারের আন্দোলন এখন জীবন রক্ষার আন্দোলনে পরিণত হয়েছে এবং বিজয় ছাড়া সাধারণ মানুষের সামনে বাঁচার আর কোন পথ খোলা নাই। আর কে না জানে জালেমের বিরুদ্ধে মজলুমের বিজয় সুনিশ্চিত। মনে রাখতে হবে, ফ্যাসিস্ট যত দানবীয় হোক, ইতিহাস বলে, দুর্বার গণ জোয়ারে জালেমরা ভেসে যেতে বাধ্য।