ঘরোয়া ক্রিকেটে বলার মতো কোনো পারফরম্যান্স না থাকার পরেও সবাইকে অবাক করে নিউজিল্যান্ড সিরিজে দলে জায়গা পেয়েছিলেন সৌম্য সরকার। এরপর প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিংয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর তাকে নিয়ে সমালোচনা আরও বেড়েছিল। তবে সেই সমালোচনার জবাব সৌম্য দিলেন রাজকীয় এক ইনিংসের মাধ্যমে।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) নেলসনে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে কিউই পেসারদের দাপটে যখন দলের ব্যাটাররা অসহায় সেই সময় সৌম্য খেললেন দুর্দান্ত এক ইনিংস। ১৫১ বলে ২২ চার ও দুই ছক্কায় তার ১৬৯ রান বাংলাদেশের পক্ষে ওয়ানডেতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। অল্পের জন্য বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ওয়ানডে ইনিংস না পেলেও তিনি করলেন আরেক বিরল রেকর্ড। যাতে পেছনে পড়ল কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের। নিউজিল্যান্ডের মাঠে এশিয়ান ব্যাটারদের মধ্যে এখন সর্বোচ্চ রানের ইনিংস সৌম্য সরকারের। ২০০৯ সালে শচীনের করা ১৬৩ রান এখন নেমে গেছে দুইয়ে।
অন্য ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রেখে দুর্দান্ত ব্যাটিংই করেছেন সৌম্য। বিগত দিনগুলোতে যেসব কারণে সমালোচিত হয়েছেন, সেখানেই আজ দেখা গিয়েছে উন্নতির গ্রাফ। দুইবার লাইফ পেয়েছেন কিউই বোলারদের কল্যাণে। আর সেই সুযোগটা দারুণভাবে কাজেও লাগিয়েছেন তিনি। নিজের ইনিংস টেনে নিয়েছেন ১৬৯ পর্যন্ত।
১১৬ বলে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন ওপেনিংয়ে নামা এই ব্যাটার। তবে সেখানেই থামেননি তিনি, দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে করেছেন দেড়শও। পাঁচ বছর আগে ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন সৌম্য। ফিফটি পেয়েছিলেন শেষ ২০১৯ সালে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে ব্যাটে রান ফেরায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পেতে পারেন ৩০ বছর বয়েসী এই ব্যাটার।
তবে এমন দিনেও দলীয় রানের বিচারে হয়ত খানিক অতৃপ্তি থেকেই যাবে বাংলাদেশের। শেষ ওভারে দ্রুত উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ থেমেছে ২৯১ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০০ রান করতে না পারার আক্ষেপটাই হয়ত বড় হতে পাড়ে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যদের জন্য।