লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, বিএনপির অফিসে তালা ঝুলিয়ে ও নেতাকর্মীদের কারাগারে আটকে রেখে সরকার নির্বাচনের নামে তামাশার আয়োজন করছে। দেশের প্রধানতম রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে লক্ষাধিক মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার, নির্যাতন-নিপীড়ন করা হচ্ছে। নেতাকর্মীদের অধিকাংশ জেলে অথবা গ্রেপ্তার এড়াতে বনে-জঙ্গলে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীতে একদফার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর হরতাল সমর্থনে ঢাকা মহানগর লেবার পার্টির বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে হতে মিছিলটি শুরু হয়ে পুরানা পল্টন, পল্টন মোড়, তোপখানা রোড, সচিবালয়, প্রেস ক্লাব হয়ে পুরানা পল্টন আল-রাজি কমপ্লেক্সের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
ডা. ইরান বলেন, দেশে নির্বাচনের উৎসব নয়; গ্রেপ্তার, নির্যাতন-নিপীড়নের মাধ্যমে বিরোধী শক্তির নিশ্চিহ্ন করার মহোৎসব চলছে। বিএনপির কয়েকজন লোভী বহিষ্কৃত নেতা দিয়ে নতুন নতুন দল তৈরি এবং জেলখানায় নাশকতার মামলার আসামি শাহজাহান ওমরকে ভাগিয়ে নৌকায় তুলে আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে, আইন-আদালত বলতে কিছু অবশিষ্ট নেই। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ অন্যরা এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে রাজি না হওয়ায় মিথ্যা মামলায় হয়রানি করতেই কারাগারে রাখা হয়েছে।
তিনি দেশপ্রেমিক জনগণ ও রাজনৈতিক শক্তিকে নির্বাচনী তামাশা বর্জনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
লেবার পার্টি ঢাকা মহানগর সহসভাপতি নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন, দলের ভাইস চেয়ারম্যান রামকৃষ্ণ সাহা, অ্যাডভোকেট জহুরা খাতুন জুঁই, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ রুম্মান সিকদার, প্রচার সম্পাদক মনির হোসেন খান, মহিলা সম্পাদক নাসিমা নাজনিন সরকার, নারীনেত্রী পারভিন আক্তার, মহানগর সদস্য মো. এনামুল হক আকন, রাসেল হোসেন, ছাত্রমিশন সভাপতি সৈয়দ মো. মিলন প্রমুখ।