হরতালের সমর্থনে রাজধানীতে মিছিল ও সমাবেশ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে সরকারের নানামুখী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তেজগাঁওয়ে ট্রেনে নাশকতা হলো। আন্দোলন থামাতে এ ধরনের নাশকতা চালানো হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর তোপখানা রোড থেকে মিছিল বের করেন গণতন্ত্র মঞ্চ। তাদের মিছিলটি কয়েকটি এলাকা ঘুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হয়। সমাবেশ শেষে আবারও মিছিল নিয়ে তোপখানা রোডে গিয়ে কর্মসূচি শেষ করেন গণতন্ত্রের মঞ্চের নেতাকর্মীরা।
জোনায়েদ সাকি বলেন, নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে মিছিল ও সমাবেশ বন্ধের নির্দেশ দেয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাক-বাকুম করে প্রজ্ঞাপনও জারি করে দেয়। মিছিল ও সমাবেশ জনগণের সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার। এই নিষেধাজ্ঞা ভেঙে জনগণ রাজপথে নেমেছে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এবারের নির্বাচন সরকারের ডামি নির্বাচন, তামাশার নির্বাচন।
যে নির্বাচন নিয়ে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। আর কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের বক্তব্যে প্রমাণ হয়েছে, এ দেশের বিচার ব্যবস্থা কাদের অঙুলিতে চলে।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, তামাশার ডামি নির্বাচন মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং সরকার তা পরিষ্কার বুঝতে পেরেছে। একারণে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে মিছিল মিটিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। জনগণ এই অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক নিষেধাজ্ঞা মানে না। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জনগণকে রাস্তায় নেমে এসে রাজপথ দখলে নেয়ার আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।
তারা বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং সরকারের কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন বিরোধী দল নির্বাচনে এলে এক রাতে সবাইকে জামিন দেয়া হতো। অর্থাৎ জাতীয় পার্টির মতো ভিক্ষার সিট নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে ২০ হাজার নেতাকর্মীদের মুক্ত করে দেয়া হতো। তার একথাই প্রমাণ করে দেশের আইন আদালত সব তাদের নির্দেশেই চলে। শাজাহান ওমর ভিক্ষার সিট নিয়ে হ্যাডম দেখায়, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জামিন নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। অথচ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মীরা একই ধরনের মামলায় গ্রেপ্তার হলেও তাদের জামিন হয় না।
নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।