মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা, প্রতিবাদী গান, শোভাযাত্রা ও জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুলেল শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।
বিজয় দিবসের আলোচনায় এবি পার্টি নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৬ ডিসেম্বরে উদিত হওয়া বিজয়ের সূর্য ৭ জানুয়ারি দেশ ধ্বংসের কলঙ্ক নিয়ে ডুবে যাবে কিনা সেটা আজ বড় প্রশ্ন! গণতন্ত্র ও স্বাধিকারের জন্য বৈষম্যের বিরুদ্ধে যে মুক্তিযুদ্ধ তার অঙ্গীকার ধ্বংসের জন্য নেতৃবৃন্দ আওয়ামী লীগ সরকারকে দায়ী করেন। তারা বলেন, পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে দেশকে মুক্ত করা হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শিক্ষক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, দলের সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুব পার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন ও সহকারী সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আব্বাস ইসলাম খান নোমান প্রমুখ।
আলোচনা সভা ও প্রতিবাদী গানের অনুষ্ঠান শেষ করে এবি পার্টির নেতাকর্মীরা পুষ্পস্তবক, জাতীয় পতাকা ও নানা রঙের ফেস্টুন সুসজ্জিত শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রাটি প্রথমে পল্টন থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রাটি সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে পৌঁছায়। সেখানে বীর শহীদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং শহীদদের স্বপ্নের অধিকার ভিত্তিক বাংলাদেশ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে তারা শপথবাক্য পাঠ করেন।
এর আগে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে ডা. ওয়াহাব মিনার বলেন, আজ সাধারণ মানুষ বাজার করে খেতে পারছে না। তিনি সরকারকে লক্ষ্য করে বলেন, অবিলম্বে এই পাতানো নির্বাচন বন্ধ করুন, মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিন।
অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর আমরা উদযাপন করছি পরাধীনতার শৃঙ্খল নিয়ে। এখনো আমাদের সংগ্রাম করতে হচ্ছে ভাতের অধিকার, ভোটের অধিকার, শিক্ষা চিকিৎসার মতো মৌলিক অধিকার নিয়ে, যা অত্যন্ত লজ্জা ও পরিতাপের। আজকের বিজয় দিবসে আমাদের অঙ্গীকার আমরা এবি পার্টির নেতৃত্বে এই পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে দেশকে মুক্ত করবই ইনশাআল্লাহ।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, স্বাধীনতার পূর্বেও এই দেশে রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ সবই ছিল কিন্তু বাংলার মানুষের অধিকার ছিল না। যার জন্যই লাখো মানুষ জীবন দিয়েছিলেন, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করার সংগ্রাম করেছিলেন। আজ আবার মানুষ তার ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম করছে, জেল খাটছে, জীবন দিচ্ছে। আমাদের এই আন্দোলন চলছে, চলবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, কেন্দ্রীয় নেতা আলমগীর হোসেন, এম আমজাদ খান, যুব পার্টির সদস্য সচিব শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, যুগ্ম সদস্য সচিব হাদিউজ্জামান খোকন, মাসুদ জমাদ্দার রানা, সুলতানা রাজিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, যুগ্ম সদস্য সচিব সফিউল বাসার, কেফায়েত হোসেন তানভীর, মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব ফিরোজ কবির, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুল হালিম নান্নু, রুনা হোসাইন, শাহিনুর আক্তার শীলা, সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, আমিরুল ইসলাম নুর, সেলিম খান, আব্দুর রব জামিল, রিপন মাহমুদ, মশিউর রহমান মিলু, ছাত্রপক্ষের আহ্বায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম নির্ঝর, পল্টন থানার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি, রনি মোল্লা, সিএম আরিফসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।