গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, দেশে আজকে প্রায় সব বিরোধী দল সরকারের একতরফা তপশিলকে বয়কট করেছে, অধিকাংশ দলই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। অথচ তারা জোর করে ৭ জানুয়ারি নির্বাচন করার জন্য আটঘাট বেঁধে নেমেছে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগের এই পাতানো নির্বাচন মানবে না।
শনিবার সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে মুক্তিসংগ্রামের বীর শহীদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
জোনায়েদ সাকি বলেন, নিপীড়ক ও বৈষম্যের পাকিস্তান রাষ্ট্রকে পরাজিত করে এই দেশের আপামর মুক্তিযোদ্ধারা এই দিনে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল। বিজয়ের আজ ৫৩ বছরে এসেও মুক্তিযুদ্ধের যে অঙ্গীকার ছিল সেই সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার এমনভাবে ভূলুণ্ঠিত যে, মানুষকে ন্যূনতম ভোটাধিকার রক্ষার জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে। কেননা, গত পনেরো বছরে এই রাষ্ট্রের গণতন্ত্রকে সরকার কবরে পাঠিয়েছে। ২০১৪ তে প্রতারণার একতরফা নির্বাচন, ২০১৮তে গভীর রাতের ভোট ডাকাতির মধ্য দিয়ে দেশকে এমন জায়গায় ঠেলে দিয়েছে যে, রাষ্ট্র আজকে ধসে পড়ে যাবার উপক্রম হয়েছে। এরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার নামে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা ও সার্বজনীন ভোটাধিকারকেই ধ্বংস করেছে।
তিনি বলেন, ’৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এবং এক রক্তক্ষয়ী ত্যাগের মাধ্যমে গড়ে ওঠা বাংলাদেশের সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক মূল্যবোধ, নিয়মনীতি তথা জনগণের অর্জনকে এখন আওয়ামী লীগ কখনো সংবিধানের দোহাই দিয়ে, কখনো নিয়মরক্ষার নামে পায়ে দলেছে। এরা বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নাম ভাঙিয়ে দেশকে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে টেনে নিয়ে গেছে। আর এর প্রতিবাদকারী সব বিরোধী পক্ষের ওপর চরম নির্যাতন-নিপীড়ন করে লাখ মানুষকে কারাগারে বন্দি করা হয়েছে এবং তড়িঘড়ি বিচার করে অনেককে দণ্ড দেওয়া হচ্ছে। সরকার এগুলোর মধ্য দিয়েই প্রহসন ও তামাশার নির্বাচন করতে যাচ্ছে- যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যাবে না। জনগণ মনে করে, ৭ তারিখে নির্বাচনের অগ্রিম সিট ভাগাভাগি সম্পন্ন। এখন কেবল ঘোষণা করা বাকি।