দেশের মোট বৈদেশিক ঋণের তুলনায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অনুপাত সর্বনিম্নে এসে নেমেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া ও বৈদেশিক ঋণ বেড়ে যাওয়ার কারণে এমনটি হয়েছে। গত ১২ বছরে যে হারে বৈদেশিক ঋণ বেড়েছে, সেই হারে রিজার্ভ বাড়েনি। এছাড়া গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে দেশের রিজার্ভ কমছে। কিন্তু ঋণ বেড়েছে। এসব মিলিয়ে ঋণের বিপরীতে রিজার্ভের অনুপাত কমে গেছে।
গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ‘ইন্টারন্যাশনাল ডেবট রিপোর্ট ২০২৩’ বা ‘বৈশ্বিক ঋণ প্রতিবেদন ২০২৩’ শীর্ষ প্রকাশনা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, রিজার্ভের বিপরীতে বৈদেশিক ঋণের অনুপাত কম থাকলে ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা বেশি থাকে, ঋণ পরিশোধে ব্যর্থতার কারণে আর্থিক ঝুঁকি কম থাকে। অন্যদিকে বৈদেশিক ঋণের বিপরীতে রিজার্ভের অনুপাত কম থাকলে আর্থিক ঝুঁকি বাড়ে। ঋণ পরিশোধের সক্ষমতাও কমে। এসব কারণে ৭ বছর ধরে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা গড়ে কমছে। মাঝে এক বছর বাড়লেও তা স্থায়ী হয়নি।