রাজনীতিতে জনগণ নেই এ ধরনের নির্বাচন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী। এ নির্বাচন বর্জন করতে হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি নেতারা।
আজ শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনে সিপিবি আয়োজিত মহান বিজয় দিবসের আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ বর্তমান গণতন্ত্রহীন পরিবেশ, জনগণের ভোটাধিকার ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত না করে একতরফা প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠানে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আলোচনা সভা থেকে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ বন্ধ করে নির্বাচন কমিশনের চিঠির প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা নির্দেশনাকে সংবিধানবিরোধী উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের মেহনতি সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে বিজয় অর্জিত হয়েছে। আজ কথায় কথায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলা হলেও শাসকগোষ্ঠী দেশকে মুক্তিযুদ্ধের ধারায় পরিচালিত করছে না।
তারা বলেন, গণতন্ত্রহীনতা, লুটপাট, সাম্প্রদায়িকতা আর সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্য দেশবাসীর মাঝে চেপে বসেছে। এ অবস্থা থেকে দেশ বাঁচাতে জনগণকে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। রাজনীতিতে নীতিনিষ্ঠ শক্তির সমাবেশ ঘটাতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ’৭২ এর সংবিধানের মূলভিত্তি গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না।
দলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, সামছুজ্জামান হীরা, অমিত রঞ্জন দে, জাহাঙ্গীর আলম নান্নু, নিমাই গাঙ্গুলী, অর্ণব সরকার, কাজী রুহুল আমিন, দীপক শীল প্রমুখ।